Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট নগরীর রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ

৪৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি দাবী সিসিকের

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:৪১ পিএম

সিলেট নগরীতে ভূগর্ভস্থ (আন্ডারগ্রাউন্ড) পথে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। এতে সিসিকের আওতাধীন রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পুরোটাই সংস্কার করতে হয়েছে সিসিককে। কাজ বিদ্যুতে রাস্তা সংস্কার সিসিকের, এমন কারণে ক্ষয়ক্ষতি বাবদ ৪৫ কোটি টাকার দাবী তোলেছে সিসিক। সেই অর্থ প্রদান করতে হবে সিসিককে। এমনকি এই ৪৫ কোটি টাকা চেয়ে সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠিও দিয়েছে সিসিক। সিসিক বলছে, সাড়ে ১৪ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক তার স্থাপনে খোড়াখোড়ির কারণে সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে সবমিলিয়ে সিসিকের ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। যেহেতু কাজ করেছে পিডিবি, সেহেতু সংস্কারের এই টাকা তাদেরই প্রদান করতে হবে। এদিকে, বকেয়া বিদ্যুত বিল বাবদ সিসিকের পকেটে রয়েছে ২৫ কোটি টাকা। সেই বিল পরিশোধের জন্য তাগিদ দিচ্ছে সিলেট বিদ্যুত বিভাগ। বকেয়া বিল জমতে জমতে দাঁড়িয়েছিল ৩৫ কোটি টাকায়। চলতি বছর দুই ধাপে ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করে সিসিক। তারপরও বকেয়ার বিশাল অংকের টাকা বাকী। সেই টাকার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের চাপে রয়েছে সিসিক।

সিসিক সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় সাড়ে ১৪ কিলোমিটার বিদ্যুতের আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল (ভূগর্ভস্থ তার) স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপদ বিদ্যুতায়ন ও মাটির উপরস্থ তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি পেতে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। আগামীতে স্থাপন করা হবে নগরীতে আরও ২৫ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক তার।


সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ ক্যাবল প্রকল্প বাস্তবায়নে রাস্তার হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি। রাস্তা মেরামত করতে হয়েছে আমাদের। সেই মেরামতে ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। সেই টাকার জন্য বিদ্যুত বিভাগকে অবহিত করে, অর্থ প্রদানের অনুরোধ করেছে সিসিক।
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগ বকেয়া বিল বাবদ সিসিকের কাছে পাওনা ২৫ কোটি টাকা। বছরের পর বছর বিল আটকানোর কারনে বিশাল অংকের টাকা বকেয়া রয়েছে সিসিকের কাছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিতরণ অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল কাদির বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের (সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার) সময় সিসিক কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের সকল বকেয়া করেছিল পরিশোধ। এরপর থেকে বিল বকেয়া রাখতে শুরু করে সিসিক। বার বার তাগিদ দিয়ে চিঠি পাঠালেও পরিশোধ করা হয়নি সব বিল। তবে এব্যাপারে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ‘ সর্বশেষ গেল জুনে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয় বিদ্যুৎকে। বর্তমানে ২৫ কোটি টাকা পাবে সিসিকের কাছে বিদ্যু বিভাগ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিসিক

৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ