মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের স্বপ্ন ছিলো আফগানিস্তানকে ব্যবহার করে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করা, কিন্তু তালেবানের উত্থানে তাদের সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার জলে গেছে।
তালেবানের উত্থানে খুবই চিন্তিত ভারত। আর তাই নিরাপত্তায় কোনো ফাঁক রাখতে চাইছে না প্রশাসন। সংবাদ সংস্থা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকায় বলা হয়েছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সশস্ত্র সীমা বল, সিআরপিএফ ও উগ্রবাদী মোকাবিলার কাজে যুক্ত রাজ্যের বিশেষ বাহিনীগুলোকে তালেবান প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রয়োজন পড়লে কোনো কোনো রাজ্যপুলিশকেও এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ করা হবে।
আনন্দবাজার জানায়, আফগানিস্তানের মসনদে তালেবানের বসার বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের অন্দরে। ওই কারণেই ভারতীয় স্থল বাহিনীর কয়েকটি বিভাগকে এই বিষয়ে কৌশল আরো মজবুত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বদলাতে বলা হয়েছে রণনীতিও। কারণ ভারত মনে করছে, ‘তালেবানের উত্থান ভারতের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।’
এতে বলা হয়, পাশাপাশি যে নির্দেশনামা দেয়া হয়েছে, তাতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তালেবানের উত্থানের ফলে ভারতের অনুপ্রবেশের ঘটনা আরো বাড়তে পারে, মূলত প্রভাবিত হতে পারে ভারতের পশ্চিম সীমান্ত। তাই ওই বিষয়েও নজরদারি বাড়াতেই হবে। নাম না করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, একটি তালেবান প্রতিরোধী মডিউল তৈরির কথাও ভাবা হচ্ছে। যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশে, ওই দিকে নজর রেখেই এই মডিউলের গতিপথ নির্ধারণ করা হবে। কারণ সকলের কাছে তালেবানের পরিচয় স্পষ্ট হওয়া জরুরি। তিনি বলেছেন, সীমান্তের কোনো চেকপোস্টে যে শেষ সেনা জওয়ান নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন, তার কাছেও তালেবানের কৌশল স্পষ্ট থাকা জরুরি। তাহলেই তিনি মোকাবিলা করতে পারবেন।
তিনি বলেন, এই কর্মকর্তা মনে করছেন, একেবারে তৃণমূল স্তরে যে সেনাকর্মীরা কাজ করছেন, তাদের কাছে সবটা পৌঁছে দেয়া দরকার। তিনি বলেছেন, ‘একজন উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার হয়ত আফগানিস্তানের ইতিহাস ও তালেবানের কৌশল নিয়ে অনেক কিছু জানেন। কিন্তু দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন যে নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের কাছেও এই তথ্য থাকা জরুরি। না হলে তারা লড়াই করবেন কী করে।’
এই তালিকায় শুধু সেনা নয়, এলাকাভিত্তিক রাজ্যপুলিশ থেকে শুরু করে আধাসেনা বা অন্য বিশেষ বাহিনীও পড়ছে বলে আনন্দবাজার জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।