পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : প্রাথমিক বিচার ও শাস্তির আইন ছিল অপেক্ষাকৃত অকার্যকর। টাইমস পত্রিকার এক সম্পাদকীয়তে একে গণহত্যাকারী, সন্ত্রাসী ও প্রধান কোকেইন পাচারকারীদের অব্যাহতি আইন বলে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু ২০০৬ সালে কলম্বিয়ান সাংবিধানিক আদালত একে শক্তিশালী, ভুক্তভোগীদের কেন্দ্রীয় ভূমিকা অনুমোদন, সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে আট বছর করে এবং পূর্ণ ও সত্য স¦ীকারোক্তির দাবি জানায়।
এরপর আধা-সামরিক বাহিনীর নেতারা শুধু তাদের যুদ্ধাপরাধের স্বীকারোক্তিই নয়, প্রেসিডেন্ট ইউরাইবের মিত্র ও আত্মীয়দের সাথে তাদের সম্পর্ক থাকার কথাও স্বীকার করে। তদন্তকারী আইনপ্রণেতাদের দায়িত্ব বহনকারী কলম্বিয়ান সুপ্রিম কোর্ট একটি আক্রমণাত্মক আধা-রাজনৈতিক তদন্ত পরিচালনা করে যাতে প্রেসিডেন্টের জোটের অনেকেই আটকা পড়েন।
ইউরাইব পাল্টা লড়াই করেন। তিনি বিচারকদের বামঘেঁষা ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য অভিযুক্ত করেন। তার গোয়েন্দা সংস্থা বেআইনিভাবে সুপ্রিম কোর্ট ও বিচারকদের ক্ষেত্রে আড়ি পাতে। তবে তিনি এতে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন।
২০০৮ সালে এপ্রিলে প্রেসিডেন্টের জ্ঞাতি ভাই ও সাবেক সিনেট সভাপতি গ্রেফতার হন এবং আধা-সামরিক ডেথ স্কোয়াডের সাথে ষড়যন্ত্রের জন্য অভিযুক্ত হন। কয়েক সপ্তাহ পর কলম্বিয়ানরা পুলিশের ফটোতে দেখতে পায় যে আধা-সামরিক নেতাদের আমেরিকান বিমানে তোলা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন বিচার নীতির দায়িত্বে থাকা সাবেক বিচার উপমন্ত্রী মিগুয়েল সাম্পার স্ট্রাউস বলেন, গোটা দেশই এতে স্তম্ভিত হয়। এটা ছিল এ রকম যে তারা আমাদের সত্য জানার এবং বিচার পাওয়ার ও ক্ষতিগ্রস্তদের খেসারত দেয়ার সুযোগ দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
২০০৮ সাল নাগাদ ধীর ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিচার ও শান্তি প্রক্রিয়া প্রকৃত প্রক্রিয়ায় পরিণত হয়। ২ লাখের মত অত্যাচারিত লোক এ বিচার কাজে অংশ নিতে নাম নিবন্ধন করে, হাজার হাজার অপরাধের স্বীকারোক্তি পাওয়া যায় এবং হাজার হাজার গোপন কবর আবিষ্কৃত হয়।
প্রেসিডেন্ট ইউরাইব প্রকাশ্যে তার হস্তক্ষেপ প্রক্রিয়ার যৌক্তিকতার প্রতি সাফাই গান এ দাবি করে যে আটক ব্যক্তিরা কারাগারে থেকেও তাদের বেআইনি কাজকর্ম চালাচ্ছে।
আধা-সামরিক কমান্ডাররা নিজেরা দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করেন যে, ইউরাইব তাদের নীরব রাখার জন্যই দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। অত্যাচারিতদের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরাও এ ব্যাপারে একমত।
প্রভাবশালী মুভমেন্ট ফর ভিকটিমস অফ স্টেট ক্রাইমস-এর প্রতিষ্ঠাতা সিনেটর আইভান সেপেডা বলেন, তারা সবাই সম্মিলিতভাবে সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন যা সরাসরি ইউরাইবকে অভিযুক্ত করবে। এরপর কর্তৃপক্ষ সেলগুলোতে প্রবেশ করেন যেখানে তাদের কম্পিউটার, ইউএসবি ছিল। তারা সব কিছু নিয়ে আসেন। তারা যেসব কাজ করছিলেন, যেসব প্রমাণ তারা বিচার বিভাগের কাছে দিতে যাচ্ছিলেন, সব অদৃশ্য হয়ে গেছে।
সেপেডা বলেন, সব প্রত্যাবাসনের আগে ও পরে আছে। যদি উদ্দেশ্য হয় আসলে অপরাধীদের নীরব রাখা ও বিচার এড়ানো তবে তা সর্বোচ্চ মাত্রায় অর্জিত হয়েছে। মাত্র এখন, বহু বছর পর , আমরা ফল দেখতে শুরু করেছি।
ভার্জিনিয়ার ওয়ারশর নর্দার্ন লেক রিজিওনাল জেলে জিরাল্ডো যখন ইংরেজি ভাষা শিক্ষা ক্লাসে প্রবেশ করেন তখন অন্য কলম্বিয়ানরা জেগে ওঠে। তারা তার পেন্সিল তীক্ষè করে দেয় ও কাগজ সংগ্রহ করে আনে বলে সুপারিনটেন্ডেন্ট টেড হাল জানান।
জিরাল্ডো একজন বয়স্ক বন্দী। তিনি ইংরেজি জানেন না বলে হাত দিয়ে নানা ভঙ্গি করেন। এক সময় তিনি একটি আধা-সামরিক বাহিনী চালাতেন যারা ৪ হাজার লোকের সাথে ১৮০০ মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী। তারা বলে, তিনি একজন বন্দী যিনি তার হাত যখন হাতকড়া পরা থাকে না তখন তিনি তা পিছনের দিকে আড়াআড়ি করে রাখেন।
বন্দর শহর সান্তা মার্টার ব্যস্ততম বাজার থেকে সিয়েরা নেভাদা পাহাড়ের পাদদেশ ও এবং পিছন দিকে ক্যারিবীয় উপকূল পর্যন্ত যে এলাকা জিরাল্ডো নিয়ন্ত্রণ করেন সেখানে তিনি সবচেয়ে বড় গডফাদার এবং সেখানে তার শক্তি এখনো অনুভূত হয়।
সান্তা মার্টার মেয়রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা প্রিসিলা জুনিগা বলেন, এ লোকটিকে গ্রেফতার করার পর তিনি তার এলাকা প্রহরা দেয়ার জন্য সশস্ত্র গ্রুপ রেখে আসেন। আমরা তা বন্ধ করতে পারিনি। ২০০৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত এলাকায় তাদের বেআইনি উপস্থিতি রয়েছে।
প্যাস্টেল রঙের মার্কেট প্লেসের পাশে যেখানে তার আস্তানা সেই মডিউলার অফিসে বসে জুনিগা কথা বলেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে সরকার জিরাল্ডোর লোকজনের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে যাচ্ছে যিনি নিরাপত্তা প্রদানের নামে এখনো মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন।
শুরু থেকেই জিরাল্ডোর ব্যক্তিগত ইতিহাস, খ- খ- সাক্ষাৎকারের সমন্বয়, কোর্ট রেকর্ড, সরকারী কাগজপত্র এবং তার প্রকাশ্য কথাবার্তা কলম্বিয়ার তীব্র গৃহযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত। তার জন্ম ১৯৪৮ সালে, লা ভায়োলেন্সিয়া নামে পরিচিত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চালিত রক্তঝরা পর্ব শুরু হওয়ার বছরে।
তিনি নেতৃত্বদানের জন্য এসেছিলেন, তা মনে হয় না। তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ কৃষিসহকারী হওয়ার লক্ষ্যে যখন বাড়ি ছাড়েন তখন তার দ্বিতীয় গ্রেডের শিক্ষা ছিল। তার আইনজীবী তার সম্পর্কে একটি স্থানীয় প্রবাদ বাক্য ব্যবহার করেন যার অর্থ হচ্ছে তিনি হচ্ছেন সেই লোক যে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে চায় এবং সূর্যের নিচে শক্ত মাটিতে রেখা টানে।
১৯৭০ সাল নাগাদ মারিজুয়ানা ব্যবসার রমরমার যুগে জিরাল্ডোর উত্থান ঘটে। এটা ছিল কোকেইন ব্যবসার বিস্ফোরণের আগের ঘটনা। তিনি বিচ্ছিন্ন খামারগুলো থেকে মারিজুয়ানা সংগ্রহ ও তা উপকূলে পৌঁছে দেয়ার জন্য খচ্চরের পরিবহন সার্ভিস চালু করেন। সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।