মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ২০০১ সাল থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগান মাটি ব্যবহার করছে। অবকাঠামো, আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য প্রকল্পে স্থায়ী ভূমিকা রাখার জন্য একটি নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে এবং তাদের প্রকাশ্য ও গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রায় আফগানিস্তানে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করে ভারত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগান ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে ভারত জাতিসংঘ সনদের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছে যার মধ্যে রয়েছে অনুচ্ছেদ ২(৪), ভিয়েনা কনভেনশনের অনুচ্ছেদ ৪১(৩) এবং ২০০১ সালের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ১৩৭৩ এর ২য় ও ৫ম প্যারা। যাই হোক, যখন তালেবানরা আফগানিস্তান পুনরায় দখল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেয়, তখন ভারতীয় নকশাগুলো মোদির সরকারের জন্য ভুল হিসাবে পরিণত হয় যা আঞ্চলিক শান্তি নষ্টের প্রধান ভূমিকায় ছিল।
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, ভারত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং এই অঞ্চলের বিরুদ্ধে তার ঘৃণ্য নকশাগুলোর বাস্তবায়নে আইএস/টিটিপি মতো সংগঠনগুলোকে সমর্থন এবং প্রশিক্ষণ দিয়েছে। আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণের আড়ালে, তারা আইএস এবং টিটিপি’কে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল এবং জানা গেছে যে, ওই সংগঠনগুলোর প্রায় ৩০০ জন সদস্য এখনও ভারতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এই উদ্দেশ্যে, পাক-আফগান সীমান্তে বিভিন্ন ভারতীয় কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠিত হয়, যা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা‘র’ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং ব্যবহার করা হয়।
ভারত পাকিস্তানকে বদনাম করতে গুরুদুয়ারা হামলা, লাহোর বিস্ফোরণ, গোয়াদার হামলার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিল এবং পাক-চীন সম্পর্কের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল। ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা কুলভূষণ জাদব আফগানিস্তান থেকে পরিকল্পিত এবং নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকারও করেছিলেন। ভারত ক্রমাগত আফগানিস্তানে লুণ্ঠনকারী হিসেবে কাজ করে এবং আশরাফ গনির সরকারকে প্রভাবিত করে শান্তি প্রক্রিয়া ভেঙে দেয়ার চুক্তি লঙ্ঘন করে এবং বিশেষ করে কাবুল পতনের পর তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা শুরু করে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি তার সাম্প্রতিক তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং ইরান সফর শেষে আফগানিস্তানে ভারতের শান্তি বিনষ্টকারী ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। পাকিস্তানে ফেরার পর জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে কুরেশি বলেন যে, আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ও শান্তি দেখতে চায় না এমন নষ্টকারীদের তালিকায় নয়াদিল্লি শীর্ষে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত তার মন্দ পরিকল্পনা পূরণের জন্য বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে একত্রিত করেছিল।’ ভারত তালেবান কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথাকথিত অভিযোগ, আফগান নারী ও শিশুদের টার্গেট করা, নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।