পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে মানুষ উদগ্রীব হয়ে আছে টেস্ট এবং টিকা নিতে। সরকারি হসপিটালে উপচে পরা ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে টেস্ট এবং টিকা নেওয়ার জন্য। শতশত মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে হসপিটালের সামনে। আবার বেশ কিছু হসপিটালে নির্দিষ্ট সংখ্যক করোনা পরীক্ষা হয় বলে অনেককে এসে চলে যেতে হয়। যারা ফরম পূরণ করতে পারে তাদের আবার ভোরেই এসে সিরিয়াল দিতে হয়। টিকা এবং টেস্টের লাইন দিন দিন বড়ই হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা যেটা মানুষের এই মুহুর্তে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধী থাকে না। থাকে না কোন সামাজিক দূরত্ব। কেননা হসপিটালে সামনে বা ভেতরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকার ফলে গাদাগাদি করেই দাঁড়াতে হয় লাইনে। আবার ফর্ম পূরণ করা এক যায়গায়, জমা দেওয়া আরেক যায়গায়, সেম্পল নেওয়া হয় আরেক যায়গায়, সবগুলো ক্ষেত্রেই হচ্ছে দীর্ঘ লাইন। যার অন্যতম কারণ দায়িত্বশীল লোক খুব যৎসামান্য। প্রত্যেকটা লাইনে বা ধাপে একাধিক লোকবল থাকলে অন্তত এতো সময় ক্ষেপণ হতো না। কিন্তু একাধিক লোকবল খুব চোখে পড়ে না। করোনা নিয়ে এখন আর কালক্ষেপণ করার সময় নেই। এখন উচিত বড় পরিকল্পনা নিয়ে বড় কোনো স্পেস নিয়ে হাজার হাজার মানুষের দৈনিক টিকার আওতায় আনা, নিয়মিত হাজার হাজার পরীক্ষা করা এবং অতিদ্রুত পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে অথবা মেসেজ দিয়ে অবগত করা। এসব কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া একান্ত জরুরি। দেশের এই বিপদ কালীন সময়ে স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া উচিত। নির্বিঘ্নে সবাই যেন চিকিৎসা সেবা পায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
মো. সায়েদ আফ্রিদী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।