Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাল টাকার মামলায় স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল শহিদ উদ্দিনের ১০ বছর কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:২৯ পিএম

জাল টাকা রাখার অভিযোগে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এবং তার স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।


বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়দা হাফছা ঝুমা এরায় ঘোষণা করেন।


মামলার অপর দুই আসামি সৈয়দ আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না তাদের খালাস দেয়া হয়েছে।

আকিদুল আলী ও খোরশেদ আলম কারাগারে রয়েছে। রায় ঘোষণার আগে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এ মামলায় খালাস পেলেও অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদ- দেন আদালত। এ কারণে তারা কারামুক্ত হতে পারছেন না।


কর্ণেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী ও তার স্ত্রী মিসেস ফারজানা আনজুম খান পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। আরেক আসামি জহুরুল হক খন্দকার মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।


সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কবীর আহাম্মদ রুমী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।


পুলিশ জানতে পারে, শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীর মালিকানাধীন ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন বারিধারা ডিওএইচএস এর ২ নং রোডের ১৮৪ নং বাসা থেকে দীর্ঘদিন একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ আরকেটি পিস্তল, একটি শর্টগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ এবং শর্টগানের দুইটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের শোয়ার ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারের মধ্য থেকে এক হাজার টাকার তিন বান্ডিল নোট যার পরিমান তিন লাখ টাকা। এছাড়া আর এক হাজার টাকার তিন বান্ডিল জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। যার পরিমানও তির লাখ টাকা।

এ ঘটনায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ফেইক কারেন্সী নোট টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) বিপ্লব কিশোর শীল ওই দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধ আইনেও একটি মামলা করা হয়। পরে ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।


উল্লেখ্য থাকে, অস্ত্র আইনের মামলায় গত বছর ১০ নভেম্বর শহিদ উদ্দিন চৌধুরীসহ এ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দেন আদালত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারাদণ্ড


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ