মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র সূচকে ভারতের র্যাঙ্কিং হ্রাস পেয়েছে। পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক প্রকাশিত ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে গত ছয় বছরে ভারত ২৬ ধাপ নেমে ২৭তম স্থানে থেকে ৫৩তম অবস্থানে চলে এসেছে।
মার্চ মাসে, ফ্রিডম হাউস ভারতকে ‘মুক্ত’ থেকে ‘আংশিকভাবে মুক্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করে। ভারতের সাথে একই অবস্থানে রয়েছে ইকুয়েডর, মোজাম্বিক এবং সার্বিয়ার মতো দেশগুলো। একই মাসে, সুইডেনের ভি-ডেম (ভ্যারাইটিস অফ ডেমোক্রেসি) ইনস্টিটিউট আরও এক ধাপ এগিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল যে, ভারত একটি নির্বাচনী গণতন্ত্র হওয়া পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ভি-ডেম এখন ভারতকে একটি ‘নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র’ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, যার অবস্থান চীন এবং সউদী আরবের মতো ‘বন্ধ স্বৈরতন্ত্রের’ উপরে এবং জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ‘উদার গণতান্ত্রিকতা’ থেকে নীচে।
গত দশকে সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক ভিত্তি হারানো দশটি দেশের ভি-ডেম তালিকায় ভারতের অবস্থান সপ্তম। এই পরিমাপের দ্বারা, তারা হাঙ্গেরি এবং তুরস্কের চেয়ে এগিয়ে কিন্তু বলিভিয়া এবং থাইল্যান্ডের চেয়েও অনেক পিছিয়ে। ভারতে ৬০ কোটিরও বেশি ভোটার ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ফলে অনেকে গণতান্ত্রিক পতনের অভিযোগকে ভারতকে ছোট করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছেন। মার্চ মাসে একটি মিডিয়া কনক্লেভে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘আপনি গণতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের দ্বিচারিতা ব্যবহার করেন। আপনি কি সত্য উত্তর চান? এটা ভন্ডামি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জাতীয়তাবাদী অনুভ‚তিতে জাগ্রত ভ‚মিতে এ ধরনের আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া ভাল ভূমিকা রাখে। যে কোনও ভুলের জন্য ‘বিদেশী হাত’ কে দোষারোপ করার স্বাধীন ভারতের একটি ভয়াবহ ইতিহাস রয়েছে, যা মোদি সরকার দক্ষতার সাথে পুনরুজ্জীবিত করেছে এমন একটি ঐতিহ্য। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর উত্তর আসল প্রশ্নের উত্তর দেয় না: দারিদ্র্যের মধ্যে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভারত দীর্ঘকাল উত্তর-উপনিবেশিক বিশ্বে বহিরাগত হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় হঠাৎ তার উজ্জ্বলতা হারিয়েছে কেন? এর আগে মার্চে, ওয়াশিংটন ভিত্তিক গণতন্ত্রপন্থী থিংক ট্যাঙ্ক এবং ওয়াচডগ ফ্রিডম হাউস তার প্রতিবেদনে বলেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির অধীনে ভারত কর্তৃত্ববাদের কাছাকাছি চলে আসছে বলে মনে হচ্ছে। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।