Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তাড়াশে মতিন হত্যা মামলার ৪ আসামী আটক

তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ৫:২১ পিএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে চাঞ্চল্যকর মোবাইল মেকার মতিন হত্যার ৪ আসামীকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল রবিবার সকাল ১১টা দিকে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম। আটককৃতরা হলেন উপজেলার তালম গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩১), গুল্টা গ্রামের মৃত বাবুলাল তির্কীর ছেলে নিরঞ্জন তির্কী (৪৭), মৃত সুধীর এক্কার ছেলে লালন এক্কা (২৪) ও খোকা তপ্যর ছেলে রাজ কুমার তপ্য (৩১)।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১৬ জুন গুল্টা বাজার দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একদল কিশোর ফুটবল খেলার সময় বিদ্যালয়ের নলকক‚প ও পায়খানার প্রাচীরের মধ্যে বল আনতে গিয়ে মতিনের লাশ দেখতে পায়। পরে মতিনের ভাই মোতালেব থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের নামে হত্ব্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) । এর মধ্যে দুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্ধী দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, নিহত মতিনের দোকানের পাশেই ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা করতেন আরিফুল ইসলাম। মতিনের ব্যবসার উন্নতি দেখে ঈর্ষানিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে আরিফ।

তিনি আর ও জানান, তিন/চার মাস আগে স্থানীয় স্কুলমাঠে একটি ইসলামি জলসায় বক্তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করেও আরিফ ও মতিনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে আরিফের টার্গেটে পরিণত হন মতিন।

ঘটনার দিন ১৬জুন ২০২১ রাত একটার দিকে মতিন দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে নিরঞ্জন, নিরঞ্জনের স্ত্রী পদ্মা, নিরঞ্জনের ছেলে মিঠুন ও আরিফ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নিরঞ্জন ও আরিফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় মতিনের। এসময় নিরঞ্জনের সহায়তায় মতিনের ঘাড় মটকে দেয় আরিফ। কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান মতিন।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার আরো বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রথমে মতিনের নিথর দেহ ১৫মিনিটের মতো নিরঞ্জনের বাড়িতে রাখা হয়। তার মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থল থেকে ২/৩ কিলোমিটার দূরে ডোবার মধ্যে রেখে আসা হয়। এরপর হাইস্কুল মাঠের পাশে টয়লেটের ছাদে উঠে মতিনের মরদেহ নিচে ফেলে দেওয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আটক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ