পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
আফগানিস্তান ইস্যুতে ৫৭ সদস্যের মুসলিম দেশগুলোর সংঘটন অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠক ডেকেছিল। সে বৈঠকে সংগঠনটি আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার অঙ্গীকার করেছে। বৈঠকে সংগঠনটি নতুন করে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়া উচিত হবে না আফগানিস্তানের এবং ভবিষ্যৎ নেতাদের অবশ্যই তা নিশ্চিত করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে। আফগানিস্তান যেন আর কখনও সন্ত্রাসবাদের প্ল্যাটফর্ম অথবা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত না হয় সেই স্বার্থে ‘ভবিষ্যৎ আফগান নেতৃত্ব’ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রিয়াদের ডাকা এক বিশেষ সভা শেষে সৌদি আরবভিত্তিক এই সংগঠনটি জানিয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে আফগানিস্তানে পা রাখার অনুমতি দেয়া যাবে না। আফগানিস্তানের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ওআইসি আহ্বান করেছে যে, সব পক্ষকে সহিংসতা ত্যাগ করতে হবে। আর অতি দ্রুত সমগ্র আফগানিস্তানে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। সউদী ভিত্তিক সংগঠনটি বলেছে, আফগানিস্তানে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতি জোর দিতে আগামী মাসে তারা কাবুলে দূত পাঠাবে। সংগঠনটি আরও বলছে, আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যেন আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ না করে। ওআইসির আহ্বান এবং সিদ্ধান্তের বেশিরভাগ প্রতীকী হলেও গত সপ্তাহে কাবুল দখলে নেয়া তালেবানের প্রতি নিজেদের অবিশ্বাস প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। মুসলিম দেশগুলো আফগানিস্তানের নতুন বাস্তবতা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছে ওআইসি। বিবৃতিতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন পক্ষকে তাদের মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম বিশ্বের এই সংগঠন। রয়টার্স, আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।