Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া হুঁশিয়ারি চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৫ এএম

তালেবান নেতৃত্ব আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুলের দখল নেয়ার পরপরই সে দেশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিল চীন। আরও এক ধাপ এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল তারা। সেই সঙ্গে তারা শুরু করেছে দর কষাকষিও। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মুখে সন্ত্রাস দমনের কথা বলে সেই নীতি চীনের বিরুদ্ধে কার্যকর করলে, তার ফল ভালো হবে না। সেই সঙ্গেই চীনা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তালেবান আফগানিস্তানে ফের শক্তিধর হয়ে উঠলে ৯/১১-র মতো ঘটনা ফের ঘটতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনকে স্বাগত জানালেও এখনই নতুন সরকার নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নয় তারা। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান নিয়ে আমাদের অবস্থান প্রথম থেকেই স্পষ্ট। তবে তালেবান নেতৃত্ব সেখানে কীভাবে সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ছে, এখন সেটাই দেখার।’ অর্থাৎ নতুন সরকার গঠনের আগে আপাতত আফগানিস্তান নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ নিয়েছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনের সাহায্য চায়, সে ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনকে বিষয়টি নিয়ে ‘আন্তরিক’ হতে হবে। অর্থাৎ মুখে এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে, পরে সেই কথা থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে তার ফল ওয়াশিংটনকেই ভোগ করতে হবে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-কে ফোন করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব অ্যান্টনি বিøঙ্কেন। ওই মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চীনের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছে জো বাইডেন প্রশাসন। দোহার শান্তি আলোচনায় চীনের ভ‚মিকার প্রশংসাও করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব। বিøঙ্কেনের সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিয়েছে চীনের সরকার। তবে সেই সঙ্গেই চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট করেছে যে আফগানিস্তানে নতুন কোনও গৃহযুদ্ধ তারা আর চায় না। সেখানে স্থিতিবস্থা ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ভ‚মিকা থাকবে বলে মনে করছে শি জিন পিংয়ের সরকার। বিøঙ্কেনকে গতকাল বলেছেন, এভাবে তাড়াহুড়ো করে মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসায় গোটা অঞ্চলকে তার ফল ভুগতে হচ্ছে। চীনা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আফগানিস্তানে চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান এই চারটি দেশেরই স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। আপাতত যুক্তরাষ্ট্র আর চীন দু’দেশই চায় আফগানিস্তান ফের যাতে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর না হয়ে ওঠে। তাদের দাবি, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে ৯/১১-র মতো হামলা হতে বেশি সময় লাগবে না। এই মুহ‚র্তে আফগানিস্তানে চীনা নাগরিকেরা সুরক্ষিতই রয়েছেন। খোদ তালেবান নেতৃত্বই তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। বরং নিজেদের দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য চীনের দিকে তাকাতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে। সিনহুয়া,এবিপি।

 



 

Show all comments
  • Jaahid Nomaan ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৩ এএম says : 0
    আফগানিস্তান কে সুন্দর ভাবে পৃথিবীতে তুলে ধরতে হলে অবশ্যই পারস্পরিক আন্তরিকতা থাকতে হবে... প্রতিটি দেশেরই আন্তরিকতা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি... পরিস্থিত অবশ্যই মানুষদের ভালো অথবা খারাপ হতে রুপান্তরিত করে...
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Harun Ur-Rashid ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৫ এএম says : 0
    আহারে, যুক্তরাষ্ট্র খুব অসহায় হয়ে পড়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • কুদ্দুস তালুকদার ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৫ এএম says : 0
    এদের শুধু হুশিয়ারিই শুনলাম; কাজের কাজ কিছুই দেখলাম না।
    Total Reply(0) Reply
  • Ain Uddin ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৬ এএম says : 0
    ধন্যবাদ সত্য কথা বলারজন্য
    Total Reply(0) Reply
  • MD Iqbal Hosen ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৭ এএম says : 0
    আমেরিকা যার বন্ধু তার কোন শত্রুর দরকার নেই। ক্ষমতা আর দাম্ভিকতা মানুষকে পাগল এবং হিংস্র করে তোলে, সর্বশেষ তার পতন ঘটে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jashim Uddin ২০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৭ এএম says : 0
    মানা আর না মানা এটা তাদের ব্যাপার, তবে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে ইহাই সত্যি।
    Total Reply(0) Reply
  • monir ২০ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫২ পিএম says : 0
    আমেরিকা যা করেছে তাতেও কোন না কোন স্বার্থ আছে,চীন যা করতে চাচ্ছে তাতেও। ভূরাজনৈতিক কারনে আফগানিস্হান নিয়ে তাদের এতো মাতামাতি।
    Total Reply(0) Reply
  • পথিক ২৩ আগস্ট, ২০২১, ১০:১২ পিএম says : 0
    মধ্য এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাওল্টে যাওয়ার কারণে আফগানিস্তান খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তৃতীয় বিশ্বে আমেরিকার দখলসত্ত্বে চীন চেক দিয়ে ফেলায় আমেরিকার অবস্থা খুব নাজুক। তন্মধ্যে আমেরিকার ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ চীনের কাছে গচ্ছিত। এটা হচ্ছে, ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে। বিশ্বের সব দেশে আমেরিকার বেতনভিত্তিক কিছু প্রথম শ্রেণীর ছাপোষা থাকে। তারা মিথ্যার আড়ালে মানুষ যাতে সত্যটা জানতে না পারে্‌। তারা সে ব্যবস্থা করে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ