গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐকবদ্ধ্য করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্মূল করতে হবে। জনসম্পৃক্ততাই ডেঙ্গু মোকাবিলার উত্তম উপায়। জনসাধারণের অংশগ্রহণ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সহজ হবে না। গতকাল রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে আয়োজিত ‘সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী, মেয়র, কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে ঢাকাকে মশামুক্ত করে জনজীবনে স্বস্তি এনে দেওয়া সম্ভব নয়। জনগণের অংশগ্রহণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যেমন সিটি কর্পোরেশনের মৌলিক দায়িত্ব তেমনি নাগরিকদেরও নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অবহেলা না করে সুনাগরিকের ভ‚মিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা কিভাবে এবং কোথায় জন্ম নেয় এসব বিষয়ে নগরবাসীকে বিভিন্নভাবে সচেতন করা হয়েছে। মানুষ যদি সচেতন হয়ে এই বিষয়গুলোতে নজর দেয় তাহলে এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব না হলেও নিয়ন্ত্রণ করে সহনীয় পর্যায়ে আনা অসম্ভব। নির্মাণাধীন বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজনন বেশি হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাসাবাড়ির ছাদে, বেজমেন্টে অথবা ফুলের টবে জমানো স্বচ্ছ পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে বা ফেলে দিতে না পারলে সেখানে লার্ভিসাইড অথবা কেরোসিন তেল ঢেলে বা স্প্রে করে নগরবাসীকে এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করতে হবে।
তিনি বলেন, গত বছর শুধু জলবায়ুর প্রভাবে ডেঙ্গু কম ছিল বলে অনেকে বলে থাকেন, কিন্তু একথা সত্য নয়। মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, নগরবাসী সবার সমন্বিত উদ্যোগ ছিল বলেই সেটা সম্ভব হয়েছে। এবারও আমরা সফল হব। পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ, যারা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সফল হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েও কাজ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেখানে প্রচুর এডিসের লার্ভা প্রজনন হচ্ছে। এছাড়া, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে নিজ উদ্যোগে এসব স্থাপনায় মশক নিধন অভিযান চালাতে হবে। তবে মশা মারতে গিয়ে এমন কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না যার জন্য পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি হয়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, সিভিল এভিয়েশন এবং রেলওয়েসহ অন্যান্য সরকারি আবাসন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে অথবা নিজেদেরকে মশা নিধনের উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের যত খাল-জলাশয় রয়েছে সেগুলোকে সংস্কার করে একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ দিয়ে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু এবং দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে দৃষ্টিনন্দনভাবে গড়ে তুললে ঢাকা শহরকে ভেনিসের মতো আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয় ও ডিএনসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কাউন্সিলররা, নগর পরিকল্পনাবিদ, বিভিন্ন সোসাইটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সামাজিক সংগঠনের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।