মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি গত এক বছরে সমর্থন কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ইন্ডিয়া টুডে’র একটি সমীক্ষায় এমন চিত্র ফুটে উঠেছে। গত বছরের আগস্টে ৬৬ শতাংশ মানুষই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির বিকল্প কাউকে পাননি। এক বছরের মাথায় ৪২ শতাংশ কমে চলতি মাসে ২৪ শতাংশে ঠেকেছে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, পরবর্তী পছন্দের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। তার সঙ্গে চতুর্থস্থানে রয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারা গত বছর যথাক্রমে সপ্তম ও ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। ‘মুড অব দ্য নেশন’ নামে প্রত্যেক বছর জানুয়ারি এবং আগস্ট মাসে সমীক্ষা চালায় ইন্ডিয়া টুডে। তাতে ভারতের রাজনীতিকদের নিয়ে সাধারণ মানুষদের মতামত তুলে ধরে তারা। চলতি মাসে যে সমীক্ষা সামনে এসেছে, তাতে দেখ গেছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদিকে পছন্দ দেশের ২৪ শতাংশ মানুষের।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কংগ্রেসের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী আছেন তৃতীয় স্থানে। যুগ্ম ভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, সে নিয়ে জল্পনা দীর্ঘ দিন ধরেই। তিনি তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮ শতাংশ মানুষের পছন্দের তালিকায় ছিলেন মোদি। কিন্তু ভারত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, শ্মশানের বাইরে সারি সারি মৃতদেহ পুড়ানো, গঙ্গায় ফেলে দেয়ার পর মৃতদেহ ভেসে আসা- এসব স্মৃতি এখনও টাটকা। এসব ঘটনায় মোদি সরকারের ভ‚মিকা নিয়ে ক্ষোভ মানুষের মনে। তার উপর কৃষি আইন, বীমার বেসরকারিকরণ ঘিরেও অসন্তোষ রয়েছে। সমীক্ষায় তারই প্রতিচ্ছবি ধরা পড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হাথরস থেকে কৃষক বিক্ষোভ, পেগাসাস থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লাগাতার সরকারের বিরোধিতার ফল পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। গত বছর তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন ৮ শতাংশ। এ বছর জানুয়ারিতে তা কমে ৭ শতাংশ হলেও, আগস্টে তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে।
বিজেপি’র বিরুদ্ধে জয় মমতাকেও প্রথম পাঁচে তুলে এনেছে। দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে তোলায় অগ্রণী ভ‚মিকা নিয়েছেন মমতা। তাতেই তালিকায় উত্তরণ ঘটেছে তার। গত বছর মাত্র ২ শতাংশ মানুষ তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৪ শতাংশ।
মোদি সরকারের সঙ্গে টানাপড়েনের মধ্যেই দিল্লিতে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কেজরিওয়ালের প্রতিও সমর্থন বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর ৩ শতাংশ মানুষ তাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয় ৫ শতাংশ। আগস্টে সেটাই ৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।
বিরোধীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে কেন্দ্র যখন বিদ্ধ, সেই সময় একবার মাত্র প্রকাশ্যে এসব বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের বলে বোঝাতে দেখা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। টিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের টানাপড়েন, মন্ত্রিসভার রদবদল হোক বা বিরোধীদের বিক্ষোভে সম্প্রতি সংসদের অচলাবস্থা, প্রায় এক বছর ধরে অমিতকে সেভাবে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। এতেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তালিকার তলানিতে নেমেছেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।