মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নতুন পন্থায় যৌন হেনস্থায় মেতেছে দক্ষিণ কোরিয়ার দুষ্কৃতকারীরা। তাদের হাতিয়ার এখন বীর্য সন্ত্রাস বা সিমেন টেরোরিজম। নারীদের জিনিসপত্রে মাখিয়ে দেয়া হচ্ছে বীর্য। এমন কী, কফি বা খাবারেও মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে তা। নারীদের উপর রাগ মেটাতে এই পন্থা অবলম্বন করছে পুরুষদের একাংশ। মজার কথা হলো, এই কান্ড ঘটালেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা করা যায় না। আর এই ইস্যুতেই উত্তাল দক্ষিণ কোরিয়ার রাজপথ। নারীদের বিক্ষোভ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। ২০১৯ সালে হ্যাশট্যাগ মি ঠু নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব উত্তাল হয়ে উঠেছিল সে সময় সামনে আসে এই বীর্য সন্ত্রাসের কাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েক হাজার নারী এই সন্ত্রাসের কোপে পড়েছে বলে অভিযোগ। প্রথমে এক নারীর জুতাতে বীর্য লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদালত অভিযুক্তকে ৪৩৫ ডলার জরিমানা করে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। কারণ এমন অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও আইনই নেই। সেই থেকে শুরু। পরবর্তীতে এ ধরনের আরও অনেক অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। একবার দেখা যায়, এক নারীর পানীয়তে বীর্য মিশিয়ে দিয়েছে এক পুরুষ। কারণ, অভিযুক্ত ওই নারীকে একাধিকবার প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছিল সে। কিন্তু তিনি তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তারই বদলা নিতে গিয়েই এমন কান্ড ঘটিয়েছিল। অভিযুক্তকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৩ বছরের জেল দেওয়া হয় তার। দিন কয়েক আগে তো এক সরকারি আধিকারিকের কফিতেও বীর্য মেশানো হয়েছিল। একবার নয়, ছয় বার তার কফিতে বীর্য মিশিয়েছিল সহকর্মীরা। যদিও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কেবলমাত্র কফি কাপ নোংরা করার অভিযোগ আনে। বারবার এ ধরনের অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। অথচ অভিযুক্তের শাস্তির ব্যবস্থা নেই সে দেশের আইনে। তাই এবার বীর্য সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনার পক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদরাও। আন্দোলনে নেমে গেছে সে দেশের নারীরা। এ প্রসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা বেক হি রাইয়ান জানান, ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়নি। কারণ, সে অভিযোগকারিণীকে স্পর্শ করেনি। ফলে এটি আইন অনুযায়ী যৌন হেনস্থার পর্যায়ে পড়ে না। তবে এই আইনের দ্রুত বদল দরকার। আন্দোলনরত নারীরাও একই দাবিতে আন্দোলন করছেন। যাতে এমন কান্ড করে কেউ রেহাই না পায়। দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।