Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রথম মহাকাশ রকেট উৎক্ষেপণ দ. কোরিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০২১, ১২:১১ এএম

প্রথমবারের মতো নিজ দেশে তৈরি মহাকাশ রকেট নুরি উৎক্ষেপণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর মধ্য দিয়ে মহাকাশ অনুসন্ধান প্রতিযোগিতায় যুক্ত হলো দেশটি। রাজধানী সিউল থেকে প্রায় পাঁচশ’ কিলোমিটার দূরের গোহেয়াং থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। কোরিয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল টু নামেও পরিচিত রকেটটি একটি দেড় টন ওজনের ডামি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপন করবে। মহাকাশে সফলভাবে রকেট পাঠানো সপ্তম দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। তবে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ অস্ত্র প্রতিযোগিতা চলার মধ্যেই রকেট উৎক্ষেপণ করলো সিউল। দুই দেশই স¤প্রতি নতুন অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। নুরি উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় দুই লাখ কোটি ওন (স্থানীয় মুদ্রা) ব্যয় করেছে। ৪৭.২ মিটার দীর্ঘ এবং দুইশ’ টন ওজনের রকেটটিতে ছয়টি তরল জ্বালানি চালিত ইঞ্জিন রয়েছে। জোরালো বাতাসের কারণে কিছুটা বিলম্বে বৃহস্পতিবার দুপুরে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণ তদারকি প্রতিষ্ঠান কোরিয়া অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (কেএআরআই) জানিয়েছে, নির্ভরতা বাড়াতে ২০২৭ সাল নাগাদ আরও চারবার নুরি উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে সিউলের। প্রযুক্তির পাওয়ার হাউজ বিবেচিত হলেও মহাকাশ অনুসন্ধানে অন্য দেশগুলোর তুলনায় খানিকটা পিছিয়ে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০৯ ও ২০১০ সালে তাদের আগের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ২০১০ সালে উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মাথায় রকেটটি বিস্ফোরিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি নুরি কেবল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে ব্যবহার করা হবে। তবে এই পরীক্ষাকে অনেকেই দেশটির চলমান অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেখছেন। ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মহাকাশ রকেট একই ধরণের প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রকেট

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ