মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, রাশিয়া এবং চীনের পাঁচটি যুদ্ধবিমান তাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে। সাবধান করতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান উড়িয়ে গুলি চালিয়েছে কোরীয় বিমান বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, আজ (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় সকাল নয়টার দিকে রাশিয়া এবং চীনের যুদ্ধবিমান দফায় দফায় তাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করেছে।
কোরীয় সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের ডোকডো দ্বীপের আকাশে একটি রুশ সামরিক এ-৫০ বিমান উপর্যুপরি দুই দুইবার ঢুকে পড়ার পর সেটিকে তাড়াতে তাদের বিমান বাহিনীর এফ-১৫ এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়।
সে সময় বিমান থেকে দুই দফায় ৩৬০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়।
প্রথমবার ৮০ রাউন্ড গুলি ছোড়ার পর রুশ বিমানটি সরে গেলেও আবারও ফিরে আসে। তখন নতুন করে ২৮০ রাউন্ড গুলি চালানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান চুং ইউ-ইয়ং রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের কাছে কড়া প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে মি চুংকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, "আমরা এই পরিস্থিতিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসাবে বিবেচনা করছি। আবার এ ধরণের লঙ্ঘন হলে, আমরা আরো কড়া ব্যবস্থা নেব।"
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, এ-৫০ পর্যবেক্ষণ বিমানটি ছাড়াও রাশিয়ার দুটি টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান এবং চীনের দুটো এইচ-৬ যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে।
ডোকডো নামের ছোটো এই দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ১৯৫৪ সাল থেকে এটি দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে, কিন্তু জাপান দাবি করে এটি তাদের। জাপানে দ্বীপটি তাকেশিমা নামে পরিচিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হঠাৎ হঠাৎ চীন এবং রাশিয়ার সামরিক পর্যবেক্ষণ বিমান বিতর্কিত এই দ্বীপটির আকাশসীমায় দেখা গেছে। তবে একে কেন্দ্র করে এই ধরণের উত্তেজনা এই প্রথম। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে এ ধরণের উত্তেজনার ঘটনা এই প্রথম।
সোলে বিবিসির সংবাদদাতা ল্যরা বিকার বলছেন, রুশ এ-৫০ যুদ্ধবিমান ভূমিতে এবং আকাশে টার্গেট পর্যবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হয়।
রুশ বিমানটি একবার কোরীয় আকাশসীমায় ঢোকেনি, অল্প সময়ের ব্যবধানে দুইবার ঢুকেছে।
মিজ বিকার বলছেন, যেটা বিশেষভাবে লক্ষণীয় তা হলো স্পষ্টতই মনে হচ্ছে রুশ যুদ্ধবিমানগুলো চীনা যুদ্ধবিমানের সাথে যৌথ কোন মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
রুশ দুরপাল্লার সামরিক বিমান এ-৫০। এরকম একটি বিমান তাড়াতে গুলি চালায় দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমান
"কয়েক বছর ধরে চীন মাঝে-মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে, গোয়েন্দা বিমান ওড়াচ্ছে - যা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চীনের কাছে প্রতিবাদও জানিয়েছে।"
গত বছর চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রথমবারের মত রাশিয়ার সাথে ভোস্টক নামে ব্যাপক একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। এখন আবার এই দুই দেশ মিলে কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে বিমান মহড়া করছে।
ল্যরা বিকার বলছেন, "এই দুই দেশ হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ একটি মিত্র দেশকে ইচ্ছা করে খুঁচিয়ে তাকে পরীক্ষা করার চেষ্টা করছে। এবং এটা তারা করছে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আসছেন।"
দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে প্রতিবেশী উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক গত ৫০ বছর ধরে অত্যন্ত নাজুক। সীমান্তে কার্যত যুদ্ধাবস্থা চলছে। এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন সেনার উপস্থিতি, আমেরিকার সাথে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্কের বিষয়টি চীন এবং রাশিয়া কখনই পছন্দ করেনা। সেইসাথে সম্প্রতি শুরু হয়েছে জাপানের সাথে মনোমালিন্য।
সূত্র : বিবিসি।
বিবিসির ল্যরা বিকার বলছেন, "মঙ্গলবারের এই ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে এই অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়া কতটা নিঃসঙ্গ এবং নির্বান্ধব হয়ে পড়েছে।"
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।