নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চকলেট স্বাদের কেকটার ওপর লেখা, ‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ জয়ে নির্বাচক ও কোচদের অভিনন্দন!’ দুই দিন আগে টিম হোটেলে এভাবেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় উদ্যাপন করেছে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ।
তাহলে তো আর বলা যাবে না, নির্বাচকেরা ‘থ্যাংকলেস জব’ করেন! এবার ঘটা করেই ধন্যবাদ জানানো হয়েছে নির্বাচকদের। শুনে হাবিবুল বাশার সুমন হাসেন। এটা ঠিক, বাংলাদেশ দল খারাপ করলেই ক্রিকেটার-কোচদের পাশাপাশি সমালোচনার তির ছুটে যায় মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর নেতৃত্বে গড়া বিসিবির নির্বাচক প্যানেলের দিকেও।
গত দুটি সিরিজ অবশ্য ‘স্বস্তি’তেই কেটেছে নির্বাচকদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সিরিজ শেষে একটা মধুর সমস্যায়ও পড়তে হচ্ছে মিনহাজুল-হাবিবুল-রাজ্জাককে। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসের মতো তারকা ক্রিকেটারদের ছাড়াই বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
তামিম–মুশফিক–লিটনদের অনুপস্থিতি খুব একটা বুঝতে দেননি আফিফ–সোহানরা। তাদের এই পারফরম্যান্সই সামনের নিউজিল্যান্ড সিরিজের দল নির্বাচনে নির্বাচকদের কাজ কিছুটা হলেও কঠিন করে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজে মুশফিক–লিটন ফিরলে সোহান–নাঈমদের নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়তে হবে নির্বাচকদের। তাদের তখন ভারসাম্য রাখতে হবে পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের জায়গা ফিরিয়ে দেওয়া আর দারুণ ছন্দে থাকা খেলোয়াড়দের উপেক্ষা না করার মধ্যে। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতি দলের জন্যই ভালো, ‘ছন্দে থাকা খেলোয়াড় যত বেশি থাকবে, সেটা দলের জন্য ততই ভালো। বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলের গভীরতা বেশি থাকতে হবে। আমরা চাই দলে পারফরমার বেশি থাকুক। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলে দলের ভারসাম্য ভালো থাকে।’
যেকোনো সংস্করণে ভালো দল হয়ে উঠতে সাইড বেঞ্চ শক্তিশালী থাকাটা অপরিহার্য। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাইড বেঞ্চ বেশ ভালো হলেও ধীরে ধীরে টি–টোয়েন্টিতেও যে সেটি হতে যাচ্ছে, তারই প্রমাণ নির্বাচকদের এই মধুর সমস্যায় পড়া। হাবিবুল বলছেন, ‘আমাদের বেঞ্চটা এখন অনেক শক্তিশালী হয়েছে। যেকোনো ভালো দলের বেঞ্চটা খুব শক্তিশালী হতে হয়। একটা দলের একাদশের বাইরেও যখন ভালো খেলোয়াড় থাকে, তখন তারা ধারাবাহিক ভালো করে। ভারত ধারাবাহিক ভালো করে। কারণ, তাদের দ্বিতীয় দলটাও অনেক শক্তিশালী।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজে মুশফিক-লিটন ফিরলে দলের শক্তি নিশ্চিতভাবেই বাড়বে, আবার অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলা দু–একজন বাদও পড়বেন। দল নির্বাচনের এই মধুর সমস্যাটা ইতিবাচকভাবে দেখছেন হাবিবুল, ‘মুশফিক-লিটন ফিরলে দলের ভারসাম্য ভালো হবে। আবার যারা দলে আছে, তারাও ভালো খেলছে। দলে অনেক পারফরমার থাকলে নির্বাচকদের জন্যই ভালো। নির্বাচকেরা এমন পরিস্থিতিতেই বারবার পড়তে চাইবে।’
দলে সুস্থ প্রতিযোগিতার বড় উদাহরণ দলের পেস বোলিং বিভাগ। সমন্বয়ের কারণে তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেনের মতো পরীক্ষিত পেসাররা অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সুযোগই পাননি। পেসারদের নিয়ে হাবিবুলের বিশ্লেষণ, ‘তাসকিন আমাদের অন্যতম সেরা বোলার, তাকে একাদশে সুযোগ পেতে পর্যন্ত প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। রুবেল অভিজ্ঞ। তাকেও প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। সব টিম ম্যানেজমেন্ট চাইবে এই পরিস্থিতিতে পড়তে।’
দুর্দান্ত খেলে খেলোয়াড়েরা নির্বাচকদের এমন মধুর সমস্যায় যত ফেলতে পারবেন, ততই ওপরে উঠতে থাকবে বাংলাদেশের সাফল্যের গ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।