মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার মুম্বাই সংস্করণে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো, ‘ভারী বর্ষণের মধ্যে সাপের বৃষ্টি হচ্ছে’। সেখানে একটি রক পাইথন সম্পর্কে রিপোর্ট করা হয়েছিলো যা একটি অটোরিকশার মধ্যে দেখা গিয়েছিল। একই কাগজে একটি শিপিং কন্টেইনার থেকে আরো তিনটি অজগর উদ্ধার এবং জেলেদের জালে আটকা পড়া আরেকটি অজগরের বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছিল।
পরেরদিন শহরের সৈকতে একটি হারিয়ে যাওয়া অজগরের বিষয়ে জানা যায়। সেই সপ্তাহের শেষের দিকে আবার ২৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি দূরবর্তী শহরতলিতে একটি সাপ দেখতে পান। তিনি সাপটিকে তার গলায় জড়িয়ে নিয়ে কাছের একটি বাজার এলাকা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন যখন তার বন্ধুরা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও তৈরি করেছিল। সে সময় সাপটি তাকে তিনবার কামড়ানোর পর তিনি মারা যান। এটি আক্ষরিক অর্থেই সাপের বৃষ্টি নয়। কিন্তু এক সপ্তাহের মুষলধারে বৃষ্টি এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছিল। এর ফলে সাপ এবং অন্যান্য সরীসৃপগুলো তাদের গর্ত থেকে বের হয়ে উষ্ণতা, আশ্রয় এবং খাবারের সন্ধানে শহরের দিকে গিয়েছিল।
মুম্বাই শহরটি অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। কিন্তু এর রাস্তাগুলো গাড়ির ইঞ্জিনের মতো উষ্ণ, বিভিন্ন অলি-গলি, খাঁজ এবং প্রচুর আবর্জনায় পরিপূর্ণ। যেগুলো ইঁদুরকে আকৃষ্ট করে, সেগুলো আবার পালাক্রমে ক্ষুধার্ত সাপকে আকৃষ্ট করে।
‘রক পাইথন খুব কমই শহরে পাওয়া যায়,’ সরীসৃপ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়ার কাজে নিয়োজিত সংস্থার সন্তোষ শিন্দে বলেন, ‘গত বছর আমরা এক মাসে ২৫ টি অজগর খুঁজে পেয়েছি।’ বিষধর সাপের ক্ষেত্রে, মুম্বাইয়ের যে অংশগুলোতে সেগুলো পাওয়া যায়, তার থেকে যেখানে পাওয়া যায় না, তার তালিকা করা সহজ। সংস্থাটি গত জুন মাসে ১৩০ টি সরীসৃপ উদ্ধার করে, যখন বর্ষা শুরু হয়। গত বছরের তুলনায় যা ১৪ শতাংশ বেশি।
আরেকটি সাপ সংরক্ষণকারী সংস্থা সাপ সংরক্ষণ ট্রাস্টের মধুরিতা গুপ্ত বলেন, ‘গ্রীষ্মে আমরা প্রচুর সাপ পাই যা পানিশূন্য এবং বর্ষায় স্থানচ্যুতি খুবই সাধারণ। কিন্তু এই বছর এটি খুব বেশি হয়ে গেছে।’ তিনি সাপ দেখার ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে তিনটি কারণের জন্য দায়ী করেছেন: জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সৃষ্ট চরম বৃষ্টিপাত, মুম্বাইয়ের বনাঞ্চলে বিকাশ ঘেরা এবং ময়লা আবর্জনার স্ত‚প।
এ বিষয়ে ডক্টর গুপ্ত বলেন, মানুষ যখন সাপ দেখতে পায়, তখন তারা অবিলম্বে প্রার্থনা শুরু করে অথবা এটিকে হত্যা বা আক্রমণ করার চেষ্টা করে, এবং তারপর তারা কামড় খায়।’ তার কর্মীরা জনসাধারণকে অন্যদের থেকে বিষাক্ত সাপ আলাদা করতে শেখানোর চেষ্টা করছে। তিনি জানান, প্রতি বছর ৫৮ হাজার ভারতীয় সাপের কামড়ে মারা যান। এ জন্য অসচেতনতাই দায়ী বলে তিনি মনে করেন। সূত্র : দ্য ইকোনমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।