মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোর দিয়ে বলেছেন যে, হকিতে ভারতের অলিম্পিক ব্রোঞ্জ পদক এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ধারা ৩৭০ বাতিল, সমস্ত ঘটনাই ৫ আগস্ট ঘটেছে, যেদিন বিজেপি সরকার প্রথমবারের মতো রাম মন্দিরের ভ‚মি পূজনের প্রথম বার্ষিকী পালন করেছে। যদিও এ ৩টি ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই, বিশেষ করে হকিতে অলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ের সাফল্যের সাথে মোদির বিজেপি সরকারের কোন সম্পর্ক নেই, কিন্তু মোদি তার ‘এক জাতি’ আখ্যানের অংশ হিসাবে এটিকে ব্যবহার করেছেন।
বিজেপির জন্য রামমন্দির গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার জন্য ২টি কারণ রয়েছে, যা আগামী বছরের উত্তরপ্রদেশ বা ইউপির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত। অযোধ্যার রামমন্দির এখন বিজেপির জয়ের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।
বিজেপির গণনায় রাম মন্দির ট্রাম্প কার্ড হয়ে ওঠার ২টি প্রধান কারণ রয়েছে। একদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মুসলমানদের বিরুদ্ধে তার ঘন ঘন মন্তব্য এবং তার সরকারের মুসলিম বিদ্বেষী নীতিকে সমর্থন দিয়ে বিজেপির মূল হিন্দুত্ববাদের ভিত্তিকে উচ্ছসিত করছেন। অন্যদিকে, সরকারের কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানে ব্যর্থতা, কৃষক, সরকারি স্কুলের শিক্ষক ইত্যাদি ইস্যুতে বিরোধিতা ছাড়াও বেশ কয়েকটি বিষয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে, উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি ‘খারাপ লাগা’ আবহ তৈরি হয়েছে, বিশেষত কোভিড-১৯-এ দ্বিতীয় বিপর্যয়ের পর। এটি শুধুমাত্র ইউপির ক্ষেত্রেই ঘটেনি এবং অন্য অনেক রাজ্য একইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি বিজেপির জন্য কম ক্ষতিকর নয়। তাই জনসাধারণের মধ্যকার এই ‘খারাপ লাগা’র বিষয়টির মোকাবেলা করার জন্য অযোধ্যার রামমন্দির বিজেপির কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। অন্ততপক্ষে হিন্দু ভোটারদের একটি বড় অংশের জন্য, যারা এই করোনা দুর্যোগেও কট্টরভাবে হিন্দুুত্ববাদ পন্থী।
এই বছরের শুরুতে করা ‘সি-ভোটার’-এর এক জরিপ অনুসারে, ভারতের ২৩.৭ শতাংশ ভোটার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীত্বের সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মনে করেন। মাত্র ৪৭ শতাংশ ভোটার বলেছেন যে, ধারা ৩৭০ বাতিল করা তার সবচেয়ে বড় অর্জন।
যোগী রাম মন্দির নির্মাণের ‘তদারকি’ করার জন্য ঘন ঘন অযোধ্যা পরিদর্শন করছেন। তিনি ঐতিহ্য মন্ডিত ফাইজাবাদ জেলার নাম পরিবর্তন করে সেটিকে ‘অযোধ্যা’ এবং জেলা সদরের নাম পরিবর্তন করে ‘অযোধ্যা শহর’ করেছেন। কারণ, ‘রাম মন্দিরের নামে কমপক্ষে একটি ভোট আমরা দিতেই পারি’ এই হ’ল ভারতীয় ভোটারদের একটি অংশের অনুভ‚তি।
রাম মন্দির এমন একটি বিষয় যেটিকে ব্যবহার করে বিজেপি তার বিস্তৃত হিন্দু জোটকে অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা করছে। বিজেপি আশা করছে যে, রাম মন্দিরকে ঘিরে নতুন নতুন শোরগোল হিন্দুত্ববাদকে তার নির্বাচনী সাফল্যের কেন্দ্রস্থলে ফিরিয়ে আনবে। সূত্র : দ্য কুইন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।