নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর্থিক টানাপোড়নে শেষ পর্যন্ত প্রাণের প্রিয় ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়তে হচ্ছে লিওনেল মেসিকে। শেষ বেলায় একে একে সব সতীর্থরাই আবেগি বার্তা লিখে বিদায় জানাচ্ছেন এ আর্জেন্টাইন তারকাকে। পিকে, বুসকেতস, আলবা, রোবার্তোদের মতো সিনিয়র তারকাদের সঙ্গে দলের জার্মান গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেনও বিদায় জানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে বিস্ময়কর কিছু প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন এ গোলরক্ষক।
অনেক দিন থেকেই গুঞ্জন ছিল টের স্টেগেনের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো নয় মেসির। কিন্তু কোনো খেলোয়াড়ই এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি। তবে গুঞ্জন যে কিছুটা হলেও সত্যি, তার ইঙ্গিত মেসিকে লেখা টের স্টেগেনের বিদায়ী বার্তায় ফুটে ওঠেছে, ‘লিও, এতো বছর তোমার সঙ্গে খেলতে পেরে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ আনন্দঘন মুহূর্ত ও ট্রফি শেয়ার করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। যদিও সময়ে সময়ে আমাদের মতামত এক হয়নি। তবে আমরা সবসময় একই দিক দিয়ে চলেছি এবং প্রত্যেকেই একজন ব্যক্তি হিসাবে হারজিতের মধ্যেই বেড়ে উঠি। ধন্যবাদ!’
এরপর অবশ্য বেশ কিছু প্রশংসাসূচক বাক্যও লিখেছেন এ জার্মান তারকা, ‘এ ক্লাবের সঙ্গে তুমি তোমার জীবনের ইতিহাস তৈরি করেছ এবং তুমি একজন সত্যিকারের ফুটবল কিংবদন্তি হিসাবে বিবেচিত হয়েছ। এমন এক অর্জন যার কাছে আর কখনো সম্ভব নয়। তুমি ফুটবল পরিবর্তন করে দিয়েছ। আমি তোমার এবং তোমার পরিবারের সামনের দিনগুলোর মঙ্গল কামনা করি। ড্যানি ও বেনের পক্ষ থেকেই বড় আলিঙ্গন।’
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও গোলের সংবাদ অনুযায়ী, দুই তারকার মধ্যে দ্বন্দ্বের শুরু চলতি বছরের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচ শেষে। ঘরের স্লাভিয়া প্রাগের বিপক্ষে হোঁচট খাওয়ার পর টের স্টেগেনের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন মেসি। এ জার্মান তারকার গোলকিপিং পছন্দ হয়নি তার। এরপর দুই জনই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন না বলেই সংবাদ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।
অবশ্য টের স্টেগেনের উপর মেসির বিরক্তির সংবাদ আরও আগে থেকেই গুঞ্জন আকারে ছিল। গত বছর ফিফা দ্য বেস্টে সেরা গোলরক্ষকের তালিকায় টের স্টেগেনকে ভোটও দেননি মেসি। পিএসজির কেইলর নাভাসকে বেছে নিয়েছিলেন প্রথম পছন্দ হিসেবে। ছিলেন টের স্টেগেনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানুয়াল ন্যয়ারও। এছাড়া অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ গোলরক্ষক জন ওবলাকও তার তালিকায় ছিলেন। সে বিষয়টি মানতে পারেননি টের স্টেগেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।