নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর্জেন্টাইন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির দীর্ঘ ২১ বছরের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে বার্সেলোনা ছেড়ে দেওয়া নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফুটবল ভক্তরা। তার ক্লাব ত্যাগের এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনার শীর্ষে স্থান করে নেয়। ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ দীর্ঘদিনের ক্লাব ত্যাগ নিয়ে তার সমালোচনাও করেছেন।
খবরে বলা হয়, ৫০ শতাংশ বেতন কমিয়ে খেলার ইচ্ছা জানিয়েও প্রিয় ক্লাবে আর থাকা হলো না মেসির। নতুন চুক্তিতে সই আর করা হলো না। তািই মেসি এখন বার্সার সাবেক অধিনায়ক, সাবেক তারকা। এক কথায় মেসি এখন কোনো ক্লাবেরই নন। গত ৩০ জুনই মেসি ফ্রি এজেন্ট হয়ে যান। তবে ওই সময় কোপা আমেরিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় চুক্তি নবায়ন নিয়ে কোনো দৌড়ঝাঁপ দেখা যায়নি।
মেসির ক্লাব ত্যাগ নিয়ে জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘মেসি যখন গতবছর ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিল, তখন ক্লাবের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। আর এ বছর যখন ক্লাব ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে নিয়মের বেড়াজালে তখন ক্লাব তাকে সত্যিকার কিংবদন্তীর মতো বিদায় দিচ্ছে, অনেকটা কনে বিদায়ের মতো। আর এক সিজন বার্সেলোনাতে খেলতে পারলে ক্লাব ফুটবলের এমন কিছু রেকর্ড তিনি নিজের করে নিতে পারতেন যা খুব সহসা কারো পক্ষে অতিক্রম করা সম্ভব হতো না। যদিও এরই মধ্যে অনেক রেকর্ডই তিনি নিজের করে নিয়েছেন। তবে রোনালদো সমর্থকেরা প্রায়ই তাকে খোঁচা মেরে থাকেন যে, রোনালদো বিভিন্ন দেশের হয়ে, বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে সফলতা পেয়েছেন। কিন্তু মেসির এক বার্সেলোনার বাইরে কোনো সাফল্য নেই। এবার হয়তো সেই সুযোগ আসবে। ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের যেমন জবাব দিয়েছেন কোপা জয় করে। এবার ভিন্ন দেশ ও ভিন্ন ক্লাবের হয়ে জয় করার পালা মেসির সামনে।’’
আফরান সৈকত লিখেছেন, ‘‘বার্সার আর্থিক জটিলতা আর,,,লালীগার জটিলতায় বিদায় নিতে হলো মেসি কে। মেসি তার চুক্তি নবায়ন করতে গেছিলো,,,কিন্তু লালীগার শর্তে তাকে বিদায় নিতে হলো,,,,,মেসি তার বেতন ৫০% কাটতে রাজি হইছে,,,,- কিছু বলদ মেসির ল্যায়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলবে,,,কিন্তু মেসি ২ যুগ বার্সায় তার শৈল্পিক খেলা উপহার দিয়ে গেছে। - শুনেছি লিজেন্ডদের বিদায় জানাতে হয়,,, না বরং ধন্যবাদ দিতে হয়।’’
মেসিভক্ত মোঃ মাকসুদ লিখেছেন, ‘‘কোন আক্ষেপই নাই। বার্সার জন্য মেসিকে ভালবাসি নাই বরং মেসির জন্যই বার্সাকে ভালবাসা হয়ে ছিল।
শুধু চাই মেসি তার জাদুকরী মোহনীয় ফুটবল অব্যাহত রাখুক।আর যদি ইংলিশ প্রিমিয়ার আসে তাহলে তো কোন কথাই নেই!’’
সমালোচনা করে মোঃ ওয়াসি ইমরান লিখেছেন, ‘‘বসে থাকবে কারণ কোন ক্লাব সেভাবে আগ্রহী হবে না কারণ মেসির যথেষ্টই বয়স হয়েছে তাই এই বয়সে কেও অনেক টাকা দিয়ে কিনে লস করতে চাইবে না।ভালো কথা বললেও অনেকেই বলবে আমি ব্রাজিল সমর্থক কিন্তু আমি Germany Supporter.’’
এনামুল করিম শিকদার লিখেছেন, ‘‘এটা অনেক কষ্টের ব্যাপার,যে মেসি আর বার্সার হয়ে খেলবে না। যদিও মেসি ও বার্সা অনেক চেষ্টা করেছে থাকার জন্য, কিন্তু লালীগার অর্থনৈতিক মারপ্যাচ ও বার্সার অর্থনৈতিক দৈন্যতার জন্য তার থাকা হচ্ছে না।আমি অনেক আগেই চেয়েছিলাম মেসিকে অন্য ক্লাবে দেখতে ,আমার ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে। কারণ বার্সার এই দলটির ভবিষ্যত বলে কিছু নেই।ক্যারিয়ারের এই শেষ সময়ে একজন ফ্যান হিসেবে তার সুখি মূহুর্ত দেখতে চাই,যা এই ক্লাবে সম্ভব নয়। শুভ কামনা মেসির জন্য,যেখানেই যাক সমর্থন থাকবে তার সাথে। ’’
এম এ মনসুর লিখেছেন, ‘‘মেসি একজন সফল ফুটবলার। পেলের পর রোনালদোদের একই সারির ফুটবলার। বিশ্ব ফুটবলকে অনেক সম্মৃদ্ধ করেছেন। তবে বাস্তবতা হল ওনার বয়স এখন ৩৪।তিনি এখন কেরিয়ারের শেষ পর্যায়ে আছেন।তারপর ও শুভকামনা রইল।’’
এম আল আমিনের মন্তব্য, ‘‘নাটক চলছে, মেসি জানে এই ক্লাব ছেড়ে গেলে জীবনে আর কোন ব্যালন ডি দূরের কথা কোন ট্রফিও পাবেনা তাই নাটক শেষে আবারো বার্সেলোনাতেই আসবে।’’
মোঃ আশরাফুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘স্বেচ্ছায় ক্লাব ছাড়া আর শর্তের বেড়াজালে ক্লাব ছাড়তে বাধ্য হওয়া খুবই দুঃখজনক। হয়ত তার প্রাপ্য মূল্য না পেয়ে যেকোনো ক্লাবে যোগদান করবে। তবে যে ক্লাবে যাক না কেন শুভ কামনা রইল লিজেন্ড।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।