মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তৃণমূল সংসদ সদস্য শান্তনু সেনকে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার রাজ্য সভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য একসঙ্গে ৬ তৃণমূল সংসদ সদস্য সাসপেন্ড হলেন। সংসদের উচ্চকক্ষের চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু দিনের মতো এই ৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘পেগাসাস কান্ডে আলোচনার দাবিতে সংসদের ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন।‘
ফলে বুধবার আর অধিবেশনে অংশ নিতে পারেননি দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, মৌসম বেনজির নূর, আবির রঞ্জন বিশ্বাস, নাদিমুল হক এবং অর্পিতা ঘোষ। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকেই পেগাসাস কান্ডে আলোচনার দাবিতে সরব বিরোধীরা। একই দাবিতে গতকালও রাজ্যসভার ওয়েলে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল এমপিরা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বারবার তাঁদের সতর্ক করেন। নিজেদের জায়গায় ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও চলতে থাকে বিক্ষোভ প্রদর্শন। তখনই সংসদীয় রীতি ভেঙে বিক্ষোভ দেখানোয় শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ছয় সাংসদকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান।
এদিকে, এই ঘটনায় ট্যুইট করে প্রতিবাদ জানান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরদিকে, বিরোধী হট্টগলে বুধবার দু’টো পর্যন্ত প্রথমে রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। দু’টায় ফের অধিবেশন শুরু হলে আর আলোচনায় অংশ নিতে পারেননি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাত থেকে কাগজ কেড়ে ছিঁড়ে ফেলার দায়ে জন্য গোটা বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড শান্তনু সেন।
সরকারের ঔদ্ধত্যকে দূষছে ১৪ বিরোধী দল
এদিকে সংসদের অচলাবস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে দায় ঠেলার খেলা। এতদিন সংসদ অচল করে দেওয়ার জন্য বিরোধীদের ভালরকম কথা শোনাচ্ছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রী-সাংসদরা। এবার পালটা এল বিরোধী শিবির থেকেও। একযোগে ১৪টি বিরোধী দল বিবৃতি জারি করে দাবি করল, সরকারের ঔদ্ধত্য আর অনড় মানসিকতার জন্যই সংসদে অচলাবস্থা। বিরোধীদের দাবি, সংসদকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায় সরকারের। অথচ, সরকার বিরোধীদের কোনও দাবিই মানছে না।
আসলে, চলতি বাদল অধিবেশন শুরুর দু’সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনো সেভাবে কোনো কাজই হয়নি সংসদে। পেগাসাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা এবং রাজ্যসভা গত দু’সপ্তাহ ধরে তপ্ত হয়েই রয়েছে। একদিকে পেগাসাস ইস্যু নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে অনড় বিরোধীরা। অন্যদিকে, পেগাসাস কোনো ইস্যুই নয় বলে অনমনীয় মনোভাব সরকার পক্ষের। দুই শিবিরের টানাপোড়নে বিগত দু’সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই দফায় দফায় মুলতবির সাক্ষী হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। সরকারপক্ষের দাবি বিরোধীরা সংসদ চলতে দিচ্ছে না। দিন কয়েক আগে কৌশলে কেন্দ্রের তরফে একটি পরিসংখ্যান ফাঁস করে দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, বিরোধীদের বিক্ষোভের জেরে সংসদের অধিবেশন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের করের ১৩৩ কোটি টাকা স্রেফ নষ্ট হয়েছে।
সরকার এ অচলাবস্থার দায় এতদিন পুরোপুরি ফেলে দিয়েছিল বিরোধী শিবিরের উপর। কিন্তু গতকাল ১৪টি বিরোধী দল একযোগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল। এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হল, ‘সরকার যেভাবে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের বদনাম করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেটা দুর্ভাগ্যজনক। এই অচলাবস্থা কাটানোর দায় সরকারের। আর সরকার এখনও উদ্ধত। কিছুতেই বিরোধীদের কোনও দাবি মানতে চাইছে না। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিন।’
এ যৌথ বিবৃতিতে কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা, তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-ছাড়াও আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, শিব সেনা, ডিএমকে, এনসিপি এবং বামদলগুলো সই করেছেন। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।