Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাহুল গান্ধীর ডাকে ‘ব্রেকফাস্ট-বৈঠকে’ ১৪ বিরোধী দল

সোনিয়া-মমতা সাক্ষাতেই বদলাচ্ছে দৃশ্যপট!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

মোদি সরকারকে কোণঠাসা করার জন্য ১৪টি বিরোধীদল জোটবদ্ধভাবে কোমর বাঁধছে। ২০২৪-এর মহড়া হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার কনস্টিটিউশন ক্লাবে রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে হাজির হন অ-বিজেপি দলের সংসদ সদস্যরা। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি, ডিএমকে, শিবসেনা, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, আইইউএমএল, এলজিডি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা এবং কেরাল মনি কংগ্রেসের নেতারা। তবে রাহুল গান্ধীর ডাকা এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বহুজন সমাজ পার্টি এবং আম আদমি পার্টির সদস্যরা।
গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ দিনের সফরে যান। তারপর এ দিনের বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সংসদ সদস্য সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত মাল। সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘রাহুল গান্ধী সব বিরোধী দলকে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন, আমরা একসঙ্গে এবারে মোদি সরকারকে কুপোকাত করব’। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধী এদিন যে কথা বলেছেন, অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সে বার্তা দিয়েছেন। বিরোধীরা এখন থেকে একজোট থাকলে ২০২৪-এ বিজেপি সরকারের পতন অনিবার্য’। কংগ্রেস নেতা দিগি¦জয় সিং বলেন, ‘বিরোধীরা একজোট হয়ে লড়ছে এবং বিজেপি সরকার ভয় পেয়েছে’।
দেশের রাজনীতিতে জাতীয় স্তরে সম্মিলিতভাবে বিজেপিকে কোণঠাসা করা এবং রাজ্যস্তরে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ের ফর্মুলা গ্রহণ করতে চাইছে অ-বিজেপি দলগুলো। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিবিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলা এবং ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ডসহ ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোর ভ‚মিকা ও রণনীতি নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে চাইছেন অ-বিজেপি দলের নেতারা।
অ-বিজেপি সব বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের নিয়ে প্রাতঃরাশ বৈঠকে বসেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। গতকাল সকাল সাড়ে ন’টায় দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এ বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সংসদের অন্দরে এবং বাইরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রণকৌশল তৈরি হয়। স¤প্রতি বাংলার জনপ্রিয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে এসে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি কথা বলেছেন আরজেডি ডিএমকে এনসিপিসহ আরো কয়েকটি বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে। এর পরেই জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলো এক ছাতার তলায় আসতে শুরু করেছে। সংসদের ভেতরে এবং সংসদের বাইরে ও বিজেপি দলগুলো নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলতে শুরু করেছে।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে বিজেপি-বিরোধী দলগুলো পেগাসাস, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কৃষি আইন বাতিলের মত ইস্যুগুলোকে তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সংসদের উভয় কক্ষেই সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। কিন্তু বিরোধী দলগুলোকে একসঙ্গে আমন্ত্রণ জানিয়ে বৈঠক করে সম্মিলিত রণকৌশল তৈরি করার বৈঠক এই প্রথম।
কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সোনিয়া গান্ধী দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসসহ অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে, পৃথক কর্মসূচির পথে পা-বাড়াবে না কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সোনিয়া গান্ধীর এ সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ। সূত্র : নিউজ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ