মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিহারের একটি প্রত্যন্ত রেলস্টেশনের দখল নেয় মাওবাদীরা। গতকাল শনিবার ভোরের ভয়াবহ এই ঘটনার জেরে দিল্লি-হাওড়া মেইন লাইনে প্রায় ২ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। সূত্রের খবর, এদিন ভোররাতে বিহারের জামুই জেলার চৌরা স্টেশনকে নিজেদের আয়ত্তে এনে ফেলে মাওবাদীরা। জামুইয়ের পুলিশ সুপার প্রমোদ কুমার মন্ডল বলেন, ‘আধাসামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পাহাড়ি ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা হওয়ার সুবাদে মাওবাদীরা দ্রুত এলাকা ছেড়ে পালানোর সুযোগ পায়। জেলা সদর থেকে জায়গাটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।’
এক রেল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই বাহিনী আচমকাই স্টেশনে চলে আসে। বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার জন্য তারা বাধ্য করে। ভোররাত ৩টা ২০ থেকে সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবায় মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটে। রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা রাজেশ কুমার বলেন, সকাল সাড়ে ৫টার পর দিল্লি-হাওড়া মেইন লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রেললাইনে কোথাও বিস্ফোরক রাখা হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করার পরেই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। ঠিক কী হয়েছিল এদিনের ঘটনা?
রেল কর্মকর্তাদের দাবি, বিপুল অস্ত্রে সজ্জিত মাওবাদীরা প্রথমেই স্টেশনটিকে ঘিরে ফেলে। পুলিশের মতো ইউনিফর্ম পরা একজন স্টেশন মাস্টার বিনয় কুমারের ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর ট্রেন দাঁড় করানোর জন্য সিগন্যাল লাল করার জন্য নির্দেশ দেয়। যদি না করেন তবে স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় তারা। এরপর স্টেশন দখলের ঘটনা উপরমহলে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয় তারা। পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সমস্ত যাত্রীদের বসে থাকার অনুরোধ করে। আসলে মাওবাদী দমনের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যপী বন্ধের চতুর্থ দিনেই এই কান্ড ঘটিয়েছে তারা। তবে পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে রাস্তায় কোথাও ফাঁদ পাতা হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করা হয়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।