মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা আশ্বস্ত করেছেন যে, অ-মিজোদের তার রাজ্যে প্রবেশে ‘কোনো বিধিনিষেধ’ নেই এবং ‘কোনো ক্ষতি’ হবে না। আসাম সরকার তার বাসিন্দাদের মিজোরাম ভ্রমণের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির একদিন পর শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে বলেন, ‘উত্তর পূর্ব ভারত সর্বদা এক থাকবে’ এমনকি তার সরকার প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করলেও কাছাড় (আসাম) সীমান্তের উপকণ্ঠে ভাইরেংটে শহরে তার সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আসাম সরকার তার বাসিন্দাদের প্রতিবেশী রাজ্যে ভ্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক করার এক দিন পরে টুইটারে জোরামথাঙ্গা লিখেছেন: ‘আমি এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আসাম-মিজোরাম বর্ডার টেনশনের একটি মীমাংসিত সমাধানের আশা করছি’।
এদিকে আসাম-মিজোরাম সংঘর্ষের জেরে এখনও দুই রাজ্যের সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি। এরই মাঝে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আর এসবের মাঝেই এবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে মিজোরামের পুলিশ। পাশাপাশি মামলায় নাম রয়েছে আসাম পুলিশের চার শীর্ষ কর্তা, দুই আমলা এবং ২০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ভারতীয় দন্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে মামলা রুজু করা হয়েছে।
এফআইআরে মিজোরাম পুলিশ অভিযোগ করেছে, আসাম পুলিশের আইজিপি-র নেতৃত্বে ২০০ জনের সশস্ত্র দল জোর করে তাদের পুলিশ ক্যাম্প দখল করতে এসেছিল। এর থেকেই সংঘর্ষের তৈরি হয়। কোলাসিবের পুলিশ সুপার বোঝাপড়ার চেষ্টা চালালেও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। উলটে আসাম সেখানে পুলিশ ক্যাম্প তৈরির কথা বলতে থাকে। আসাম পুলিশ নাকি জানায়, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের নির্দেশেই সেখানে ক্যাম্প তৈরি করতে যায় আসাম পুলিশ।
এদিকে আসাম-মিজোরাম সীমানা থেকে অবরোধ উঠে গেছে। তবে সেখানে এখনও উত্তেজনা বজায় রয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগাতার টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছে। দুই রাজ্যের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া ৩০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানদের। তবে অবরোধ উঠলেও ট্রাক নিয়ে সীমানা পেরোনোর সাহস পাচ্ছেন না চালকরা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে মিজোরামগামী রাস্তা আটকে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আসামের বরাক উপত্যকার বিভিন্ন গোষ্ঠী পড়শি মিজোরামকে অবরুদ্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। তারপর থেকে বিক্ষোভকারীরাই মিজোরামগামী ট্রাক ও গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তবে নতুন করে অশান্তি না ছড়ালেও ভয় কাটছে না ট্রাকচালকদের। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।