মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাকাশবিষয়ক যেকোনো ক্ষেত্রেই যেন ধনকুবেরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে। যেমন ধনকুবের জেফ বেজোস ও ইলোন মাস্কের কথাই বলা যাক। চাঁদে হিউম্যান ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরির জন্য ইলোন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের সাথে একটি চুক্তি করেছে নাসা। আর তাতে বেশ ক্ষেপেছেন জেফ বেজোস। এজন্য অনুষ্ঠিত নিলামে স্পেস এক্সের কাছে হেরে যাওয়ায় মার্কিন সরকারের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছেন তিনি। ঘটনার সূত্রপাত গত এপ্রিলে। সে সময় ইলোন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের সাথে ২৯০ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করে নাসা। জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন নিলামে হেরে যায়। ২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদের পৃষ্ঠে নভোচারীদের অবতরণের জন্য একটি ল্যান্ডিং সারফেস তৈরির জন্য এ চুক্তি করা হয়। তহবিল সংকটের কারণে কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের সাথেই এ চুক্তি করা সম্ভব বলে জানিয়েছে নাসা। চাঁদে অবতরণ কেন্দ্র তৈরির জন্য ৩৩০ কোটি ডলার অর্থসহায়তা চেয়েছিল নাসা। কিন্তু তার বদলে কংগ্রেস থেকে অনুমোদন মিলেছে কেবল ৮৫ কোটি ডলার। এরপর নাসাকে অর্থসহায়তা করতে প্রস্তাব দেন বেজোস। এক চিঠিতে নাসার প্রশাসক বিল নেলসন জানান, জেফ বেজোস তাকে লিখেছেন, চাঁদে মানুষের অবতরণের কেন্দ্র তৈরির জন্য বাজেটের যে ঘাটতি আছে তা ব্লু অরিজিন পূরণ করবে। বর্তমানের সব খরচ তারা বহন করবে এবং আগামী দুই অর্থবছরের জন্য ২০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করবে, যেন প্রকল্পটি সঠিক পথে চলতে পারে। চুক্তির সময় নাসার হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন বিভাগের প্রধান ক্যাথি লুয়েডারস স্বীকার করেন, মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির বর্তমান বাজেট এটিকে দুটি প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে বাধা দিয়েছে। নাসা এটাও বলেছে যে, ইলোন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের কক্ষপথ মিশনের প্রমাণিত রেকর্ডও চুক্তির একটি বিষয় ছিল। এছাড়া নিলামের দরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। একদিকে দেখতে গেলে স্পেস এক্স সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্পেস এক্সের সিলিন্ডার আকৃতির স্টারশিপ যানটি নভোচারীদের বহন করে নিয়ে যাবে। নাসার এ হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেম প্রোগ্রামের জন্য নিলামে অংশ নিতে এয়ারস্পেস জায়ান্ট লকহিড মার্টিন, নর্থরপ গ্রুম্যান ও ড্র্যাপারের সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলেন জেফ বেজোস। তাদের নকশার নাম দেয়া হয় দ্য ব্লু মুন ল্যান্ডার। ১৯৬৯ সালে যে ধরনের চন্দ্রযানে চেপে নিল আর্মস্ট্রং ও বাজ অলড্রিন চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন তার সাথে মিল রেখে এ নকশা করা হয়েছে। নিজের চিঠিতে জেফ বেজোস ব্লু মুনের প্রমাণিত ঐতিহ্যের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা একুশ শতকের উপযোগী চাঁদে অবতরণের ব্যবস্থা তৈরি করেছি। আমরা সুপরিচিত বৈশিষ্ট্যযুক্ত অ্যাপোলো চন্দ্রযান দিয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছি। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়েছি। পাশাপাশি ব্লু অরিজিনের হাইড্রোজেন জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়টিকেও চিঠিতে উল্লেখ করেন বেজোস। নাসা দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদের বুকে পানির বরফ খনন করে সেখান থেকে মহাকাশ যানের জ্বালানি উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছিল। এক্ষেত্রে পানিকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন প্রোপেল্যান্টে ভাগ করা হবে রকেটের ইঞ্জিনের জন্য। এপ্রিলে প্রকাশিত নাসার নির্বাচনসংক্রান্ত বিবৃতিতে বলা হয়, স্পেস এক্সের গ্রহণযোগ্য প্রযুক্তিগত রেটিং রয়েছে। পাশাপাশি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রয়েছে অসাধারণ রেটিং। তবে পরিচালনার জন্য স্পেস এক্সকে খুব ভালো রেটিং দিয়েছে নাসা। সে কারণেই প্রতিষ্ঠানটিকে বেছে নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।