মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসাম-মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৬ পুলিশ কর্মকর্তা। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন পুলিশকর্মী এবং সাধারণ মানুষ। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে শিলচর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩৬ জন ভর্তি আছেন। এয়ারগান এবং পাথর ছোড়ার জেরে তারা আহত হয়েছেন। তবে কারো অবস্থা গুরুতর নয়।
সোমবার সন্ধ্যায় টুইটারে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সংবিধান স্বীকৃত আসাম-মিজোরাম সীমান্ত রক্ষার সময় আসামের পুলিশের ছয়জন বীর জওয়ান নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীরভাবে সমবেদনা জানাচ্ছি।’
দিনকয়েক ধরেই আসাম-মিজোরাম সীমান্তের পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে আছে। তারইমধ্যে কাছার জেলার লায়লাপুরের কাছে সীমান্ত রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে। ছোড়া হতে থাকে পাথর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। এয়ারগান থেকে ছোড়া হয় গুলি।
স্থানীয়দের দাবি, সকালে নিজেদের রাজ্যের ভ‚খন্ডের মধ্যে একটি ছাউনি তৈরি করছিল আসাম পুলিশ। সেই ঘটনাকে ঘিরে ১১টা ৩০ মিনিটে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। জড়ো হয়ে যান হাজার-হাজার মানুষ। আসাম এবং মিজোরাম পুলিশের মধ্যে আলোচনার সময় মিজোরামের একদল লোক পাথর ছুড়তে শুরু করেন। পাল্টা পাথর ছোড়েন আসামের একদল ব্যক্তিও। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রশাসন এবং পুলিশের শীর্ষকর্তারা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা তো দূর অস্ত, রীতিমতো খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। অভিযোগ, বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মিজোরামের দিক থেকে টিয়ার গ্যাসর শেল এবং এয়ারগানের গুলি ছোড়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষেরই একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কমপক্ষে ২৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং ২০ জন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন।
তারইমধ্যে মিজোরামের তরফে বিবৃতি জারি করে আসাম পুলিশের বিরুদ্ধে দায় চাপানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালছামলিয়ানার দাবি, সকাল সাড়ে ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ মিজোরামের ভ‚খন্ডে ঢুকে পড়েছিলেন আসাম পুলিশের ২০০ জন কর্মকর্তা। জোর করে সিআরপিএফের পোস্ট টপকে যান। জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। সেই ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যেতে শুরু করেন কোলাসিব জেলার ভাইরেংতে টাউনের বাসিন্দারা। তাঁদের উপর লাঠি চালায় আসাম পুলিশ। ছোড়া হয় টিয়ার গ্যাস। তার জেরে আহত হন অনেক সাধারণ মানুষ।
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, মিজোরাম পুলিশকে লক্ষ্য করে মুহুর্মূহ‚ টিয়ার গ্যাসের শেল এবং গ্রেনেড ছোড়া হয়। বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট নাগাদ গুলিও চালায় আসাম পুলিশ। পালটা মিজোরাম পুলিশও গুলি চালায় বলে দাবি করা হয়েছে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।