দৈনিক ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পাঁচজুনিয়া খালের বাঁধ কেটে পানিবদ্ধতা দূর করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক। এসময় তার সাথে কলাপাড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এস রাকিবুল আহসান ও ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ তালুকদারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল দুপুরের দিকে বাঁধ কেটে দেয়া হয়। এর ফলে পাঁচজুনিয়া বিলের প্রায় দু’হাজার একর কৃষি জমি পানিবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেয়েছে। উল্লেখ্য, কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামের দীর্ঘ চার কিলোমিটার সরকারি খাল। খালের মধ্যে বাঁধ দেয় ১১ স্থানীয় প্রভাবশালী। তৈরি করা হয়েছিল ১৬টি মাছের ঘের। ২৫ বছর ধরে নিজ বাড়ি কিংবা রেকর্ডীয় জমির মুখশা দাবি করে দখল করে নেয় যে যার মতো করে।

প্রায় দু’হাজার একর কৃষি জমির পানি নিস্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে সরকারি রাস্তার ওপর ছিলো একটি মাত্র কালভার্ট। কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ৩ ফুট ব্যাসের একটি পাইপ বসিয়েছিলো। তাও আলমগীর হাওলাদার ও মোক্তার হোসেন নামে দুই প্রভাবশালী মাটি কেটে আটকিয়ে দেয়। দু’হাজার একর জমির বর্ষার পানি নামতে পারেনি। সৃষ্টি হয় স্থায়ী পানিবদ্ধতা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, পাঁচজুনিয়া গ্রামের ২৫ বছর যাবৎ দখলকৃত খালটির বাঁধ কেটে পানিবদ্ধতা দূর করা হয়েছে।