মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পেগাসাস ইস্যুতে সরগরম সংসদের বাদল অধিবেশন। আর এই আবহে আজ সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। আজ দুপুর ১টায় রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সব মন্ত্রীকে ফোন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাস হতে পারে কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। সাধারণত ১৫ দিন পরপর হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। গত বৃহস্পতিবারই শেষ বৈঠক হয় রাজ্য মন্ত্রিসভার।
১৯ জুলাই শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। প্রায় দু’বছর পর ৫ দিনের সফরে আজই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তার একাধিক রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে। দিল্লি সফরে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন যে, দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলে আর্থিক সাহায্য, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সরবরাহসহ রাজ্যের দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভোটের পর দিল্লি যেতে পারিনি। এখন কোভিড পরিস্থিতি ঠিক আছে। পার্লামেন্টের সময় যাই। গেলে নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ বারের সাংসদ। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। দিল্লি গেলেই সংসদ ভবনে যান তিনি। দেখা করেন পুরনো স্বতীর্থদের সঙ্গে। তবে, তৃতীয় বারের জন্য বঙ্গ বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। দিল্লিতে বিজেপি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত বৈঠক হতে পারে। সেখানে, বিরোধী জোটকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস থাকবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এ জল্পনা বেড়েছে কারণ, সম্প্রতি দু’বার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের বঙ্গজয়ের অন্যতম কাণ্ডারী এবং ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
দিনকয়েক আগেই দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর বাড়িতে বৈঠক হয় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন সোনিয়া গান্ধীও। সম্প্রতি দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তবর্তী সিঙ্ঘুতে অবস্থানরত কৃষকদের নেতা রাকেশ টিকায়েত নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঙ্ঘুতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। দিল্লি সফরে গিয়ে সিঙ্ঘুতেও যেতে পারেন তিনি।
এদিকে ২০২৪-এর যুদ্ধে বিরোধীদের একজোট করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বড় ভূমিকা নিতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছিল। আর সেই জল্পনায় সিলমোহর দিয়েই আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিল্লি যাচ্ছেন অভিষেক। ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচির পরই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনতিই সংসদ চলছে। পাশাপাশি দিল্লিতে গিয়ে সংসদে দলের রণকৌশল নিয়েও তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা হয় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। গত শুক্রবারই দিল্লি থেকে ফিরছেন তিনি। ফের আজ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লি যাবেন অভিষেক। সংসদ চললেও মমতার সঙ্গে অভিষেকের দিল্লি যাত্রা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
২০২৪-এর আগে বিরোধীদের নিয়ে জাতীয় স্তরে যে সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন অভিষেক। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে এসেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ভিন রাজ্যেও এবার বিজেপি-র চোখে চোখ রেখে লড়বেন তারা। তারই প্রস্তুতিতে জোর কদমে নেমে পড়েছেন তিনি। বাংলায় বড় সাফল্যের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বও অভিষেকের ওপর আরো বেশি করে ভরসা করছেন।
অভিষেক বাংলা, ইংরেজি এবং হিন্দিতে সাবলীল। পরে সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী পক্ষের তরুণ প্রজন্মের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সেতু বন্ধনের কাজটা তিনি ভালভাবে করতে পারবেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূলনেত্রী। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন অভিষেক।
মমতার উপস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে জমজমাট থাকবে রাজধানীর রাজনীতি। মমতার সঙ্গে বিরোধী নেতাদের সাক্ষাৎ এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভিষেককেই দিদির দূতের ভূমিকায় দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বঙ্গ বিজয়ের পর জাতীয় স্তরে অভিষেকের অভিষেকের ঠিক পরেই মমতার সঙ্গে তার এই সফরে থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : এবিপি আনন্দ ও নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।