Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগুন থেকে শিল্পশ্রমিকদের বাঁচান

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

মানুষ জীবন-জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন কারখানা ও ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। কিন্তু সেখানে তাদের জীবন ঠিক কতটা নিরাপদ এ প্রশ্ন এখন সময়ের দাবি। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আমরা দেখতে পাই, সেখানে দাহ্য পদার্থ মজুদের ক্ষেত্রে ছিল অব্যবস্থাপনা। ছিল অনিয়ম। এর ফলে যত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এর দায় কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনভাবে এড়িয়ে যেতে পারে না। কেননা, যখনই কোন কারখানায় কর্মচারীর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি হবে সেখানে থাকতে হবে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা কমিটি। এ কমিটির অর্ধেক হবে মালিক পক্ষের আর অর্ধেক হবে শ্রমিকপক্ষের। নিয়মানুযায়ী, আগুন নেভানো ও উদ্ধারের জন্য কারখানার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আগুন নেভানোর কর্মী, ৬ জন উদ্ধারকর্মী এবং ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দাতা হিসেবে তৈরি করতে হবে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো কারখানার ঝুঁকি সম্পর্কে ধারণা তৈরি করা। এ বিষয়গুলো শ্রম আইনে উল্লেখ আছে। আইন থাকা সত্তে¡ও কেন কারখানায় অগ্নিদুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পায়। তাহলে কি আমরা ধরে নিব, এখানে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে? তাছাড়া যারা কারখানা নির্মাণের অনুমতি দিয়ে থাকেন তাদেরকেও অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। কেননা এখানে শত শত শ্রমিকের জীবনের প্রশ্ন। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায়, কলকারখানার গেইটে তালা দেওয়া থাকে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই এসব গরীব শ্রমিকদের জীবন যেন কোনো কারখানা মালিকের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনায় ঝরে না যায় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মৌসুমী পাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন