নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। বিপিএলের ১৮তম রাউন্ড পর্যন্ত অপরাজিতই ছিল তারা। কিন্তু পরের রাউন্ডে এসেই পথ হারাল কিংসরা। অবশেষে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডে থামলো তারা। রোববার বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের ১৮তম ম্যাচে এসে হোঁচট খেল বসুন্ধরা কিংস। এদিনের প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ’র জোড়া গোলে চট্টগ্রাম আবাহনী ২-১ গোলে হারায় বসুন্ধরাকে। বিজয়ী দলের ম্যাথিউ দুই গোল করলেও একটি শোধ দেন বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দ্য সিলভা রবিনহো। বিপিএলের টানা দ্বিতীয় আসরে কিংসদের হারিয়ে উৎসব করেছে বন্দনগরীর দলটি। এর আগে গত বছর বাতিল হওয়া লিগেও নীলফামারীতে এই বসুন্ধরাকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনী।
দুই মৌসুমে ২২ ম্যাচ পর (ফেডারেশন কাপে ৫ এবং চলমান লিগের ১৭ ম্যাচ) এই প্রথম হারের স্বাদ পেল বসুন্ধরা কিংস। তাদের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরা পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়ে খলনায়ক বনে গেলেও ম্যাচ জয়ের নায়ক রূপে আত্মপ্রকাশ করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথিউ।
রোববার ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বসুন্ধরা। প্রথম মিনিটেই গোলের সহজ সুযোগও পায় তারা। কিন্তু তা নষ্ট করেন মিডফিল্ডার মো. ইব্রাহিম। চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলে বল চলে যায় বসুন্ধরার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরার কাছে। পরে বেসেরা থেকে পাওয়া বলে বাঁ পায়ের জোড়াল শট নেন ইব্রাহিম। কিন্তু চট্টগ্রামের গোলরক্ষক মো. নাইম ঝাঁপিয়ে পরে তা রক্ষা করেন। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে প্রথমবার সহজ সুযোগ নষ্ট করে চট্টগ্রাম আবাহনী। মঞ্জুরুর রহমান মানিকের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেন রাকিব। বসুন্ধরার ডিফেন্ডার তারিক কাজীকে পেছনে ফেলে তিনি বক্সে ঢুকে কাট ব্যাক করলে বলে পা লাগাতে পারেনি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিক্সন গুইলহারমে। ফলে এ যাত্রায় বেঁচে যায় কিংসরা। এর পাঁচ মিনিট পর ম্যাচের ধারার বিপরীতে গোল করে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ৩৯ মিনিটে নাসিরুলের দারুন পাসে বসুন্ধরার অধিনায়ক ডিফেন্ডার তপু বর্মনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন চিনেদু ম্যাথিউ (১-০)।
পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গেলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি পায় বসুন্ধরা। ৪৮ মিনিটে রাউল বেসেরার বাড়ানো বলের দিকে ছুটতে থাকেন ইব্রাহিম। কিন্তু বক্সের মধ্যে তাকে ফাউল করেন গোলরক্ষক নাইম। রেফারি জসিম আকতার পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন বেসেরা। তার শট ক্রস বারে লেগে বাইরে চলে যায়। ৬৫ মিনিটে বিপলুর বদলি হিসেবে মাঠে নেমেও দলের হার এড়াতে পারেননি এলিটা কিংসলে। তবে ৮৭ মিনিটে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান রবসন (১-১)। কিন্তু বসুন্ধরার সমতায় ফেরার দু’মিনিটের মাথায় অবিশ্বাস্য এক গোল করে ফের চট্টগ্রাম আবাহনীকে এগিয়ে নেন চিনেদু ম্যাথিউ। নিজেদের সীমানা থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে শুরুতে রবসন পরে খালিদ শাফিকে দারুণভাবে পরাস্ত করে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বাকানো শটে অবিশ্বাস্য গোল করেন তিনি (২-১)। বাকি সময় আর গোলের দেখা পায়নি বসুন্ধরা। ফলে প্রথম হারের গ্লানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
ম্যাচ জিতে ১৮ খেলায় নয় জয়, চার ড্র ও পাঁচ হারে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চমস্থানেই রইল চট্টগ্রাম আবাহনী। সমান ম্যাচে ষোল জয় এবং একটি করে ড্র ও হারে ৪৯ পয়েন্ট পাওয়া বসুন্ধরার অবস্থান সবার উপরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।