মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মহামারি মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক ধাক্কা সামাল দিতে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল এনেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ৭ জুলাই ‘রাষ্ট্রপতি ভবন’-এ ঘটা করে শপথ নেন ভারতের নতুন ৪৩ জন মন্ত্রী। কিন্তু গতকাল মন্ত্রীদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। যেখানে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার ৯০ শতাংশই কোটিপতি। আর ৪২ শতাংশ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অভিযোগ।
প্রতিবেদন বলছে, একাধিক নবনির্বাচিত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে একের বেশি মামলা। নতুন মন্ত্রিসভার ৭৮ সদস্যের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক-সহ চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ।
বাকি ৩৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা ও ডাকাতির মতো ভয়াবহ মামলা। অর্থাৎ দেশটির মোট মন্ত্রীর ৩১ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের মামলা। এডিআর-এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের সংসদ সদস্য জন বার্লার বিরুদ্ধে গুরুতর ৯টি মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের আরেক সংসদ সদস্য নিশীথ প্রমাণিকের বিরুদ্ধে রয়েছে মোট ১১টি মামলা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ। নির্বাচনের সময় অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সাত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এসব তথ্যের বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয়েছে মন্ত্রীদের দেওয়া বিভিন্ন হলফনামা থেকে।
এ তো গেল অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য। আর্থিক কেলেঙ্কারির দিক থেকেও রীতিমতো রেকর্ড গড়ল এবারের গেরুয়া শিবির।
এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে, প্রধানমন্ত্রীর নতুন মন্ত্রিসভার প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থাৎ ৭০ জন সদস্যই কোটিপতি। এর মধ্যে চার মন্ত্রীর সম্পত্তি ৫০ কোটি টাকারও বেশি। নতুন মন্ত্রিসভার মাত্র ৮ সদস্যের সম্পত্তি এক কোটি টাকার কম। নতুন মন্ত্রীদের মধ্যে দরিদ্রতম ত্রিপুরার প্রতিমা ভৌমিক। তার সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৬ লাখ টাকা। বাংলা থেকে মন্ত্রী হওয়া জন বার্লা দ্বিতীয় দরিদ্রতম মন্ত্রী। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ লাখ টাকা। সম্পদ কম থাকলেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের পর প্রথমবার গত ৭ জুলাই মন্ত্রিসভায় সংস্কার করেন নরেন্দ্র মোদি। রদবদলকে কেন্দ্র করে আগেই স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১২ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করান তিনি। নতুন মন্ত্রী হওয়া ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের চার সাংসদ। এরা হলেন সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও শান্তনু ঠাকুর। সূত্র : আউটলুক ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।