মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পর্যটনের বাজার টানতে এ বার সীমান্ত খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। ১৯ জুলাই লকডাউন সম্পূর্ণ উঠে যাওয়ার পরে ব্রিটেনে বেড়াতে আসতে পারবেন ভ্রমণপ্রেমীরা। যদিও নির্দিষ্ট কিছু দেশের বাসিন্দা হলে তবেই। ভারত থাকছে ‘নিষিদ্ধ তালিকা’তেই।
গত মাসের ২১ তারিখ লকডাউন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ব্রিটেন। কিন্তু ডেলটা স্ট্রেনের দাপটে তা নিষিদ্ধ হয়। ডেলটা সংক্রমণ এখনও কমেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও লকডাউন তুলে দেয়ার সিদ্ধান্তই নিতে চায় সরকার। তাদের বক্তব্য, ৬৮ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পরেও সংক্রমণ হতে পারে, কিন্তু বাড়াবাড়ি হবে না। এই সাহসটুকু নিয়ে ভাইরাসকে সঙ্গে করেই বাঁচতে হবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ কথা জানিয়েছেন।
দেশবাসীকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে চায় ব্রিটিশ সরকার। যেমন, মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক থাকবে না। কিন্তু প্রয়োজন মতো পরতে হবে। সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নিজেকেই। অফিস, দোকান, কাফে, রেস্তরাঁ খুলে দেয়া হবে। কিন্তু বেশি বড় জমায়েত করা যাবে না। পর্যটনের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সবার জন্য নয়।
ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতি পাওয়া দেশের তালিকায় রয়েছে স্পেন, ফ্রান্স, ইটালি, পর্তুগাল, জার্মানি, আমেরিকার মতো দেশগুলো। জানানো হয়েছে, ক্রমশ পরিস্থিতি অনুযায়ী এই তালিকা বাড়ানো হবে। আবার কোনও দেশে সংক্রমণ বাড়লে তাকে এই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে থাকলে ব্রিটেনে ঢোকার পরে কোয়রেন্টিনেও থাকতে হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরে অন্তত ১৪ দিন অতিবাহিত হতে হবে। ১৮ বছরের নীচে হলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কিন্তু দেশে ঢোকার সময়ে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে সকলকে।
ভারতকে লাল-তালিকাতে রাখা হয়েছে। ভারত থেকে ব্রিটেনে সফর করা যাবে না। একমাত্র ব্রিটিশ নাগরিক হলে তবেই ফেরা যাবে। সে ক্ষেত্রে ১০ দিন নির্দিষ্ট হোটেলে নিজের অর্থে কোয়রেন্টিনে থাকতে হবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে। নিষিদ্ধ তালিকায় ভারতের সঙ্গে রয়েছে ৫০টিরও বেশি দেশ। এ সব দেশ থেকে একমাত্র ব্রিটিশ নাগরিকরাই ফিরতে পারবেন। তাদের কোয়রান্টিনের নিয়ম মানতে হবে।
একটি নিরাপদ তালিকাও (গ্রিন লিস্ট) তৈরি করেছে ব্রিটেন। এতে ৩০টিরও কম অঞ্চলের নাম রয়েছে। ব্রিটেন থেকে এই সব জায়গায় বেড়াতে গেলে ফেরার পরে নিভৃতবাসে থাকতে হবে না। তবে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে তাদেরও। পরিবহণ মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস বৃহস্পতিবার ‘হাউস অব কমন্স’-এ পর্যটনে ছাড়পত্রের বিষয়টি জানিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। তবে বরিস জনসন সরকারের এই ‘স্বাধীনতা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্তে খুশি নন বিশেষজ্ঞেরা। তারা ভয় পাচ্ছেন, দেশবাসী আদৌ এই স্বাধীনতার জন্য তৈরি কি? একশোর বেশি বিজ্ঞানী আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ লিখেছেন, বরিস জনসন ‘বিপজ্জনক কাজ’ করছেন। সংক্রমণকে মানিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে বাস করতে বলার যে পরামর্শ তিনি দিয়েছেন, তা ‘অনৈতিক ও আইনবিরুদ্ধ’। সূত্র : এবিপি।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা সন্ত্রাসের অবকাঠামো ভেঙে ফেলার জন্য নয়াদিল্লীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামাবাদ। গত মাসে লাহোরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর জড়িত থাকার বিষয়টি নয়াদিল্লী প্রত্যাখ্যান করার পর বৃহস্পতিবার এ আহ্বান জানায় পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, ‘আমরা ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গড়ে তোলা সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো ভেঙে ফেলার, লাহোর হামলায় দোষীদের গ্রেফতার এবং তাদেরকে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি’। গত ২৩ জুন জোহর টাউন বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অস্বীকার করার পরে পাকিস্তান এই বিবৃতি দেয়। ওই হামলায় তিন জন নিহত হয়েছিলেন।
এ হামলার বিষয়ে পাকিস্তান তদন্ত করে জানতে পারে, বিস্ফোরণে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি জড়িত ছিল এবং মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এক ভারতীয়, যার সাথে ‘র’-এর যোগাযোগ ছিল। তবে নয়াদিল্লি অভিযোগগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জোর দিয়ে বলেছে যে, ভারতের ভূমিকা সম্পর্কে পাকিস্তানের কোনও প্রমাণ দেয়া উচিত।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ২৩ জুন, ২০২১ সালে লাহোরে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে ভারতের অস্বীকার করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করি। ভারত যে এ সন্ত্রাসবাদী ঘটনাকে সমর্থন, সহাযোগিতা এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, তার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে’। তিনি বলেন, আমরা অতীতেও পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের জন্য ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাগুলো লক্ষ্য করেছি। কোনো সন্দেহ নেই যে, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনায় জড়িত ছিল।
মুখপাত্র বলেন, কমান্ডার কুলভূষণ যাদব, যিনি মার্চ ২০১৬ সালেন মার্চে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন, তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে ভারতের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার সবচেয়ে পরিচিত এবং অনস্বীকার্য মুখ’। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসাবে ভারত সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহার করছে। এজন্য তারা আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সম্মেলনের অধীনে অপরাধী’। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।