পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ মোহাম্মাদি। প্রাদেশিক রাজধানী কেল্লানাউয়ে তালেবানরা বড় ধরনের হামলা চালানোর পর বুধবার তিনি এই মন্তব্য করেন। এদিকে, নিরাপত্তা হুমকিতে পড়ায় উত্তরাঞ্চলের বালখ প্রদেশে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক ও রাশিয়া।
আফগানিস্তানের বাদঘিস প্রদেশের রাজধানী কেল্লানাউয়ে হামলা চালিয়েছে তালেবান। এ হামলার কয়েক ঘণ্টার মাথায় বিসমিল্লাহ মোহাম্মাদি বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি যে যুদ্ধ তীব্রতর হচ্ছে। আমরা অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক পরিস্থিতিতে আছি।’ সাংবাদিকদের কাছে দেয়া বিবৃতিতে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমাদের জন্মভ‚মি ও জনগণকে রক্ষায় স্থানীয় প্রতিরোধ বাহিনীর সহায়তায় জাতীয় বাহিনী সব শক্তি ও সম্পদ ব্যবহার করবে।’
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি বাহিনী সেনা প্রত্যাহার করছে। এ সুযোগে তালেবান তাদের হামলা ও এলাকা দখলের তৎপরতা বাড়িয়ে চলছে। আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের আগেই তালেবান দেশটির অনেক এলাকা দখল করে নিয়েছে। বিদেশি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার হলে তালেবান আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও আফগান সরকার দাবি করে আসছে যে দেশটির বাহিনী তালেবান দমনে সক্ষম। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। তালেবানের বিপক্ষে লড়তে আফগান বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। তালেবানের হামলা মুখে দেশ ছেড়ে আফগান বাহিনীর পালানোর ঘটনাও ঘটেছে। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরম হুমকির মুখে পড়েছে। এমন উৎকণ্ঠার মধ্যেই উত্তরাঞ্চলের বালখ প্রদেশের মাজহার-ই-শরীফের দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক ও রাশিয়া। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দুই দেশ।
চলতি সপ্তাহে কাবুল থেকে বেলজিয়াম দূতাবাসের অবশিষ্ট ক‚টনীতিকরাও চলে গেছেন। অস্ট্রেলিয়া মে মাসে তাদের দূতাবাসে বন্ধ করে দিয়েছে। ফরাসি দূতাবাস প্রায় খালি। ব্রিটেন এবং অন্যরা ক্রমাগত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। বিদেশীদের চেয়ে আরো বেশি উদ্বিগ্ন সেসব আফগান নাগরিক যারা দূতাবাসগুলোতে কাজ করেন এবং বিদেশী সৈন্যদের দোভাষী হিসাবে যারা কাজ করেছেন। তারা গভীর উদ্বেগের সাথে বিদেশী দূতাবাসগুলোর গতিবিধির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। ঐ সব আফগান মনে করছেন বিদেশীদের সিদ্ধান্তের সাথে তাদের নিজেদের পরিণতি জড়িত।
তালেবানের অপ্রতিরোধ্য উত্থানের কারণে বেশ উৎকণ্ঠায় প্রতিবেশ দেশ তাজিকিস্তানও। তালেবানের হামলার কারণে সীমান্ত পেরিয়ে হাজারো আফগান সেনা দেশটিতে পালিয়ে গেছে। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমান্তে ২০ হাজার সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রখমন। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।