নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তিউনিসিয়ার যে শহরে বেড়ে উঠেছেন ওনস জাবির, সেখানে টেনিসের খুব একটা উপযোগী পরিবেশ নেই। তবুও দেশটির সউসি শহরের অন্য মেয়েরা যখন পড়ালেখায় ব্যস্ত থেকেছেন, জাবির তখন টেনিস কোর্টে অনুশীলন করেছেন। নিছক বিনোদনের জন্যই টেনিস খেলতেন একসময়। কিন্তু সেই স্বপ্নের সীমানাটা বেড়ে গেছে দিনকে দিন। সেই পথচলায় এবারের উইম্বলডন টেনিসে ইতিহাসই গড়ে ফেলেছেন এই আরব কন্যা। প্রথমবারের মতো কোনো আরব দেশ থেকে খেলতে এসে পৌঁছে গেছেন শেষ ষোলোয়। উইম্বলডনে এ যেন এক ‘আরব-বসন্ত’ই।
২৬ বছর বয়সী জাবির গতপরশু তৃতীয় রাউন্ডে হারিয়েছেন সাবেক চ্যাম্পিয়ন গারবিনিয়ে মুগুরেজাকে। দু’বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ীর বিপক্ষে ৫-৭, ৬-৩ ও ৬-২ জয়টি খুব সহজ ছিল না জাবিরের জন্য। ইতিহাস গড়ার পথে অনেক নাটকীয়তা ছিল এই ম্যাচে। সেন্টার কোর্টে ম্যাচ পয়েন্টের আগে উত্তেজনায় বমি-ই করে ফেলেছিলেন জাবির। সেই চাপ সামলে ঠিকই ম্যাচ জেতেন পরে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন, ‘আমার পাকস্থলীতে সমস্যা হচ্ছিল। আমার পেট জ্বলছিল। সামান্য সময়ের জন্য এমন হয়েছিল। আসলে চাপ, অবসাদ, ক্লান্তি এসব থেকেও এমন হতে পারে। মাঝেমধ্যে আমি যখন পানি পান করি, সেটা বেশি পান করতে পারি না। এ জন্য অসুস্থ হয়ে পড়ি।’
২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সবগুলো গ্র্যান্ড স্ল্যাম মিলিয়ে জাবিরের দৌড় ছিল সর্বোচ্চ প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত। ২০১৭ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডে উঠে আলোচনায় আসেন প্রথম। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন গত বছর। তবে যাকে নিয়ে এত কথা, টেনিসে নিজের কঠিন পথচলার গল্পটা শুনুন জাবিরের মুখেই, ‘আমার ক্যারিয়ারে অনেক হতাশার গল্প আছে। জুনিয়র থেকে পেশাদার টেনিসে আসার কাজ তত সহজ ছিল না। প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা জেতাও কঠিন ছিল। গ্র্যান্ড স্ল্যামের গল্পটাও একই রকম। প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েই থেমে যেতাম। কিন্তু আমি শক্ত থেকেছি এবং নিজের ওপর বিশ্বাস হারাইনি। আমি এখানেই থেমে থাকতে চাই না, যেতে চাই আরও বহুদূর।’ নিজেকে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদাই ভাবেন জাবির, ‘আসলে আমার মনে হয় অন্য টেনিস তারকাদের সঙ্গে আমার পার্থক্য আছে। আমি শুধু নিজের জন্য খেলি না, আমি যেন পুরো মহাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি।’
এর আগে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি হারিয়েছিলেন সাবেক শীর্ষ তারকা ভেনাস উইলিয়ামসকে। ভেনাস তো জাবিরকে দেখে মুগ্ধ। যেন তার শেষ কথায় মোহরও এঁটে দিলেন ৭টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালকিন, ‘সত্যি বলতে কি সে প্রথা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। প্রথমবারের মতো তার দেশের হয়ে এমন কিছু করেছে যা অন্য কেউ আগে করেনি। সে অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা। এমনকি আমারও অনুপ্রেরণা সে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।