নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একদিন আগেই উইম্বলডন থেকে রাশিয়া এবং বেলারুশের টেনিস খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করেছে অল ইংল্যান্ড টেনিস ক্লাব। উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ বিশ্বের নাম্বার ওয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। জানিয়েছেন, দেশের সিদ্ধান্তে অ্যাথলেটদের এভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত নয়।
গতপরশু এক বিবৃতিতে উইম্বলডন জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না রাশিয়ান কোনো টেনিস খেলোয়াড়। আর রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ায় একই ভাগ্য বরণ করে নিতে হচ্ছে বেলারুশকেও। এই ঘটনার পরপরই উইম্বলডন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন জোকোভিচ, ‘আমি উইম্বলডনের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না। এটা অ্যাথলেটদের দোষ না। যখন খেলা এবং রাজনীতি একসাথে হবে, সেটা কখনই আমাদেরকে ভালো বার্তা দেয় না।’
জোকোভিচ মাত্র ১১ বছর বয়সী যখন তিনি সার্বিয়ার রাজধানীতে বিমান হামলার শিকার হন, যা তখনকার নৃশংসতা বন্ধ করার চেষ্টা করার জন্য উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) দ্বারা ৭৮ দিনের প্রচারণার সূচনা করেছিল যুগোসøাভিয়া। সেই বিভীষিকাময় সময়ের উল্লেখ করে জোকোভিচ সাংবাদিকদের বলেন তিনি বলেন, ‘আমি সবসময়ই যুদ্ধের বিরুদ্ধে। যুদ্ধশিশু হিসেবে আমি জানি, যুদ্ধ সবাইকে কতটা কষ্ট দেয়। আমরা জানি ১৯৯৯ সালে সার্বিয়াতে কি হয়েছিল। সাধারণ মানুষ সবসময় কষ্টভোগ করে।’ রাশিয়া এবং বেলারুশের অ্যাথলেটদের পক্ষ নিলেও যুদ্ধের পক্ষে নন বলেও জানান জোকোভিচ, ‘এই ধরনের অযৌক্তিক এবং অভূতপূর্ব সামরিক আগ্রাসনের পরিস্থিতিতে, রাশিয়ান শাসনের পক্ষে টুর্নামেন্টে রাশিয়ান বা বেলারুশিয়ান খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের সুবিধা নেওয়া অগ্রহণযোগ্য হবে।’
বিশ্বের প্রথম কোনো টেনিস টুর্নামেন্ট হিসেবে রাশিয়া এবং বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করেছে উইম্বলডন। অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতে কোনো বাঁধা বা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েননি এই দুই দেশের টেনিস তারকারা। যদি শেষ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তবে, অনেক শীর্ষ তারকাই জনপ্রিয় গ্রাস কোর্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। যাদের মধ্যে বিশ্বের দুই নম্বর এবং ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন ড্যানিল মেদভেদেভসহ চার রাশিয়ান পুরুষ বর্তমানে এটিপি ট্যুরের শীর্ষ ৩০ খেলোয়াড়ের মধ্যে রয়েছেন। আর শীর্ষ ৪০ ডব্লিউটিএ ট্যুর র্যাঙ্কিংয়ে রাশিয়ার পাঁচজন নারী টেনিসারও রয়েছেন। যাদের মধ্যে বর্তমানে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে থাকা বেলারুশিয়ান আরিনা সাবালেঙ্কা গত বছর উইম্বলডনের সেমিফাইনালে ছিলেন, যেখানে তার স্বদেশী ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, সাবেক বিশ্ব নম্বর ওয়ান, বর্তমানে আছেন ১৮ নম্বরে।
তবে টেনিসে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রথমবারের মতো ঘটলেও ফুটবল এবং অলিম্পিক থেকে ইতিমধ্যেই রাশিয়া এবং বেলারুশকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।