বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উখিয়ার বালুখালী থেকে কথিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার অপহরণ নাটকের অবসান হয়েছে। অবশেষে ২০ লাখ টাকাসহ ওই ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার পিতাকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রচার করা হয়েছে,আল আরফা ইসলামী ব্যাংকের উখিয়া বালুখালী শাখার ক্যাশ অফিসার হাফেজ হামিদুল হোসেনকে ৩০ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করেছিল কেবা কারা। এর পর সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল বলেও প্রচার কার হয়।
অপহৃতের চাচা জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের ডেরায় হামিদকে আটকিয়ে মারধর করে এবং তার বাবা খাইরুল আলমের কাছে মোবাইলে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে উখিয়া ও টেকনাফ থানাসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের ঘটনাটি অবহিত করা হয়। গত ৩০ জুন সকালে অপহরণের ঘটনাটি ঘটে বলে প্রচার করা হয়।
এরপর আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যরা তৎপর হয়ে উঠলে শুক্রবার রাতেই ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে প্রচার করা হয়।
কিন্তু শনিবার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হামিদকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায়। উখিয়া টেকনাফের কোন থানায় তার খোঁজ না পাওয়ায় রহস্য আরো বেড়ে যায়।
সর্বশেষ জানাযায়, পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যলছড়ি থানার পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি তদন্তে নামে। এতে বেরিয়ে আসে অপহরণ নাটকের আসল ঘটনা। ওই ব্যাংক কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি কান্জরপাড়ার এক বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ২০ লাখ টাকা এবং হামিদ ও তার পিতা খাইরুল আলমকে নেয়া হয় পুলিশ হেফাজতে।
জানা গেছে, ৩০ জুন ব্যাংকে যাওয়ার পথে একজন গ্রাহক তাকে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য। তবে ওই টাকা হামিদকে কে বা কারা দিয়েছিল তা এখনো অজানা। জানা যায়নি ঘটনাস্থল উখিয়া এবং ওই কর্মকর্তার বাড়ি টেকনাফে হওয়ার পরেও কেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত নামেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।