পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার মামলার তদন্তভার পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটে হস্তান্তর হয়েছে। গতকাল রমনা থানা-পুলিশের কাছ থেকে মামলার তদন্তভার সিটিটিসি বুঝে নিয়েছে। মামলা দায়েরের চার দিন পরও তদন্তে কোনো অগ্রগতি ছিল না। এমন প্রেক্ষাপটে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটে মামলার তদন্তভার হস্তান্তর করা হলো। সিটিটিসির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের এডিসি এ কে এম রহমতউল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় রমনা থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার বুঝে নিয়েছে সিটিটিসি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় দুই শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় আহত ৫ জন এখনো হাসপাতাল চিকিৎসাধীন।
গত ২৯ জুন বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করে রমনা থানা-পুলিশ। তবে মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশেষজ্ঞ মতামত না পাওয়ায় তদন্তে কোনো অগ্রগতি ছিল না।
এদিকে, মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভবন মালিকের সার্বিক অব্যবস্থাপনা, অতি পুরোনো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন এবং ত্উটিপূর্ণ গ্যাস ব্যবস্থাপনার কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। এ কারণে বিষয়গুলো মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবনের ভাড়াটে শর্মা হাউস, বেঙ্গল মিট, সিঙ্গার বা গ্র্যান্ড কনফেকশনারির অননুমোদিত গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবহেলার কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ অথবা ঘটনাস্থলের সামনে সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও গাফিলতিপূর্ণ ড্রেন খনন করে সংস্কারকাজও বিস্ফোরণের জন্য দায়ী হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।