নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাকালে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে মোহামেডান-আবাহনী মর্যাদার লড়াইয়ে কেউ জেতেনি। ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় পর্বে গতকাল মুখোমুখী হয়েছিল দেশের দুই জনপ্রিয় দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এদিন বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দু’দলের ম্যাচটি ১-১ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। মোহামেডানের পক্ষে ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ইয়াসান আওয়াচিং ও আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স বেলফোর্ট একটি করে গোল করেন। লিগের প্রথম পর্বেও কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে দু’দলের লড়াইটি ২-২ ব্যবধানে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল।
দেড়মাস স্থগিত থাকার পর প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই ২৬ জুন শুরু হয়েছে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বের খেলা। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কাল নিজেদের ষোলতম ম্যাচে মাঠে নামে মোহামেডান ও আবাহনী। স্বাস্থ্যবিধির কারণে ম্যাচটি হয়েছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। দেশের দুই জনপ্রিয় ক্লাবের লড়াইটি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারেনি দর্শকরা। এমন কি মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচটি টেলিভিশনে স¤প্রচারও হয়নি। বলতে গেলে অকেটা নীরবেই শেষ হলো দেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটি।
আবাহনী ও মোহামেডানের মতো উত্তেজনার এমন দর্শকহীন আরেক ম্যাচ ৩১ বছর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে ঢাকা লিগের প্লে অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দর্শকশূণ্য স্টেডিয়ামে। তখন অবশ্য আবহটা ছিল অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানো। লিগের শেষ ম্যাচে মোহামেডান আবাহনীকে হারালে সমান পয়েন্ট পেয়ে তালিকায় একই অবস্থানে জায়গা পায় দু’দল। চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারনের জন্য লিগের নিয়ম অনুযায়ী প্লে অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেই প্লে অফে দুই দলের দর্শকরা খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ৯০ মিনিট পর্যন্ত খেলা ড্র ছিল। তখন অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে দু’দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। তখন অবশ্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি। এক মাস পর দর্শকশূন্য আর্মি স্টেডিয়ামে পুনরায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই ম্যাচে মোহামেডান জিতে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে গোল পেতে মরিয়া ছিল দু’দলই। তবে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলে মোহামেডানই। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললে ম্যাচের ২০ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় সাদাকালোরা। ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড ইয়াসান আওয়াচিংয়ের শট আবাহনীর গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। তিন বারের প্রচেষ্টায় অবশেষে সফল হন ইয়াসান আওয়াচিং। ৩০ মিনিটে কাক্সিক্ষত গোল করে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন তিনি (১-০)। এগারো মিনিট পর ম্যাচে সমতা আনেন আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড কারভেন্স বেলফোর্ট। ৪১ মিনিটে মোহামেডানের রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন তিনি (১-১)। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ের্ দু’দল।
এই ড্র’তে আবাহনী ১৬ ম্যাচে নয় জয়, ছয় ড্র ও এক হারে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়স্থান ধরে রাখলো। সমান ম্যাচে আট জয়, পাঁচ ড্র ও তিন হারে ২৯ পয়েন্ট পেয়ে মোহামেডান রইলো চতুর্থস্থানেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।