পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পরিবেশ দূষণ মানবজাতির জন্য এক মারাত্মক হুমকি। তাই নিজেদের স্বার্থে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কিছু কাজ করতে পারি। প্রথমে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর বাড়তি ট্যাক্স বসাতে হবে। আর এই ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সোলার প্যানেল ও নবায়নযোগ্য শক্তিকে এগিয়ে নিতে হবে। সবরকম দূষণ কমাতে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে পানি ও বায়ু দূষণের ব্যাপারে। পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর বদলে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। টু-স্টোক যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এসব যানবাহনের নির্গত ধোঁয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড, সিসা, কার্বন মনোক্সাইডসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। একই কারণে, পরিবেশ দূষণ রোধে সিএনজি জ্বালানির ব্যবহার বেশি করে করতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করতে হবে। বনায়ন কর্মসূচির ব্যাপক সম্প্রসারণ করতে হবে। শহর বা জনবসতির কাছাকাছি কল-কারখানার না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। কলকারখানা থেকে দূষিত পদার্থ নির্বিচারে নদীতে ফেলা যাবে না। পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রকেট নিক্ষেপ ও পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ নিষিদ্ধ হওয়া চাই। অপরিকল্পিতভাবে জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে হবে। অতিরিক্ত কয়লা ব্যবহার হ্রাস করে বায়ুমন্ডলের দূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। যানবাহন থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বন্ধ করতে পুরনো ইঞ্জিন চালিত গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। এভাবেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
মাহমুদা টুম্পা
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।