Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা : সাতক্ষীরায় সংক্রমণ বেড়েছে ৫.৭২ শতাংশ, আজ তিনজনের মৃত্যু

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২১, ৪:২০ পিএম

করোনা উপসর্গ নিয়ে ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ২৭৯ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫ জন।
সোমবার (২১ জুন) মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগরের মোহর আলীর ছেলে এরশাদ হোসেন (৪৫), পুরাতন সাতক্ষীরার এম এ রশিদের স্ত্রী মর্জিনা পারভীন (৫৪) ও রাজারবাগান এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী তহমিনা খাতুন (৫০)।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের ডাঃ জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে এরশাদ হোসেন ২০ জুন, একই তারিখে তহমিনা খাতুন ও মর্জিনা পারভীন ১১ জুন সাতক্ষীরা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তারা রাতের বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন।
এদিকে, সাতক্ষীরায় টানা ৩য় সপ্তাহের লকডাউনের মধ্যেও মৃত্যুর পাশাপাশি করোনা সংক্রমনের হার বেড়েই চলেছে। সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, এপর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২,৯২৭ জন। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ২,০২৪ জন। তবে, বেসরকারি হিসেবে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি। প্রতিটি গ্রামে হাজার হাজার করোনার রোগী রয়েছে। বয়স্ক নারী-পুরুষের পাশাপাশি তরুন-তরুণীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে মারাও যাচ্ছেন।
বিগত ২৬ এপ্রিল ২০২০ থেকে চলতি বছরের ৫ জুন সাতক্ষীরায় করোনা আক্রান্তের হার ছিলো ২০.২০ শতাংশ। লকডাউনের এই ১৮ দিনে সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ২৫.৯২ শতাংশ। বেড়েছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।
অপরদিকে, লকডাউনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের ১২৭টি মোবাইল কোর্টের ৬২৪টি মামলায় প্রায় ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ২১ জুন, ২০২১, ৫:৫২ পিএম says : 0
    এই অবৈধ সরকার টাকার জন্য সব কিছু করতে পারে। জনগণ কে মেরে ফেলবে,দেখেন আমাদের বাড়ির পাশের এক জন এবং ওর সাথে যারা আসিয়াছিল ।ওমান মাসকাট থেকে25/6/2021ইং হইতে যতে ফ্লাইট ঢাকা বিমান বন্দরে অথবা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যতে পেসেনজার বাংলাদেশে গিয়েছে। যাওয়ার সময় হোটেল বুকিং দিয়ে গিয়েছে,এবং অবৈধ সরকার আইন করেছে ওমান থেকে যাওয়ার পর তিন দিন হোটেলে থাকার পর করনা টেস্ট করে ছাড় পত্র দিবে,এবং হোটেল বুকিং ছাড়া টিকিট বুকিং হয় না।এখন আপনারা দেশের বিশিষ্টজন আপনারা দেখেন ,এই অবৈধ সরকার টাকার কামানোর জন্য,কি বুদ্ধি করেছে,হোটেল বুকিং ঠিক আছে। যাত্রী এয়ারপোট যাওয়ার পর কোথায় হোটেলের গাড়ি অথবা হোটেল এর লোক কোথায় হোটেল কিছুই নেই,সরকারের আমলারা হোটেলের নামে মিথ্যা বুকিং দিয়ে যাত্রীদের থেকে ওমানে ওমানি রিয়াল নিয়ে থাকেন,আর এয়ারপোট যাওয়ার পর কোথায় কার হোটেল এবং কোথায় তদন্ত কিছুই নেই।সরকার হোটেল এর সাথে যোগ সাজেসানে মিথ্যা বুকিং দেখাইয়া এই টাকা সরকার আত্মসাত করতেছে,যাত্রীরা যাওয়ার পর সব যাত্রী বাড়িতে চলে যায় ।কোথায় তিন দিনের কোয়ারেনটিন কোথায় হোটেল সব কিছু মিথ্যা,আপনারা বলতেছেন দিন দিন করনার গতি বেশি হইতেছে ,এখন যাচাই করে দেখেন সরকার নিজেই জনগণ কে মারার কল বসাইয়াছে। 25/6/2021ইং থেকে এই পযন্ত যত যাত্রী ওমান থেকে গিয়েছে। তারা হোটেলে আছে কি না যাচাই করে দেখুন,আমাদের মনে হয় সব দেশের যাতরীর ক্ষেত্রে একই পলিটিক্স করে সরকার হোটেলের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করতেছে।জনগণ এই বেপারে অবগত নয়,এই জন্য দেশে আজকে করনার বেশী ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। দেখেন কি ভাবে সরকার কালো টাকা আয় করে,দেশ দরদি যত সব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংক্রমণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ