বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ শুক্রবার,বিরামপুর থানা পুলিশ খানপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সাতানি খোশালপুর গুচ্ছ গ্রামের ডীপ ঘরে স্ত্রীকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে ঘাতক স্বামী কে আটক করে। ভিকটিমের লাশ উদ্ধারের দিনেই ঘাতক স্বামীকে আটক করে পুলিশ! কিন্তু হদিস মেলেনি নবজাতকের !
এলাকা বাসী ও মৃত্যের পরিবার সুত্রে প্রকাশ, একই এলাকার মৃত, আব্দুর রহমান এর পুত্র আব্দুর রউফ(৪৫) বিয়ে পাগল বর্তমানে ৪ স্ত্রীর তার । ভরন পোষন না দেওয়ায় ১ম ২য স্ত্রীর অন্যের বাড়িত ঝি এর কাজ করে। তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঐ গ্রামে অন্যের পানি সেচের ডিপ টিউবয়েল ভাড়া নিয়ে কৃষকদের জমিতে পানি সেচের দেখা শুনা করত ঘাতক আব্দুর রউফ ।চতুর্থ স্ত্রী ভিকটিম হাসিনা বেগমের মা নবাব গন্জ উপজেলার ৩নং গোপালগন্জ ইউনিয়ানের কালাইচড়া কৃষ্নপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের স্ত্রী মাসুরা বেওয়া (মাসু) জানান, তার মেয়ে হাসিনা বেগমের সাথে ২ বছর পুর্বে আব্দুর রউফ সাথে বিবাহ হয়। সেখানে সে বসবাস করত। সেখানে তার কন্যা সন্তান প্রসব করে। গত১৩/১৪ দিন পুর্বে তার মেয়ে হাসিনা বেগম তাকে জানায়, তার স্বামী নবজাতক কন্যাটি নিতে চায়না।অন্যের কাছে দত্বক দিতে বলে তাতে তার মেঢয় রাজি না হওয়ায় তাকে মারপিট করে আগুনে পুড়ে হত্যা করেছেন বলে দাবি তার। ডিপ ঘরে তার মেয়ে হাসিনা তার নবজাতক সন্তানটি সেখানে থাকত। তার মেয়ের লাশ ঊদ্ধার হলেও নবজাতকটি এখন নিখোঁজ এবং তাকে উদ্ধারের দাবি জানান।
প্রকাশ, গত বুধবার,শ্রমিকেরা বাগানে আকাশ মনির চার লাগানোর সময় পার্শ্বের একটি পানি দেওয়া ড্রেনে উক্ত ভিকটিমকে দহ্য পদার্থ দিয়ে শরীর পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে রাখার সংবাদে ভিকটিমের অর্ধ গলিত লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ঐ দিন রাত বিরামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মামলা নং ৯ তাং ৯/৬/ ২০২১ইং, মামলার প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী আব্দুর রউফকে পালিয়ে থাকা অবস্থায়ি একটি গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। ওসি সুমন কুমার মহন্ত নেতৃত্বে পুলিশ ও গনমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে উক্ত ঘাতক আব্দুর রউফ এর দেওয়া তথ্যমতে, নবজাতক সন্তানকে উদ্ধার করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তৃতীয় স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এসময় আব্দুর রউফ তার ঘর থেকে স্ত্রীকে হত্যা করে পুতে রাখার আলামত একটি কোদাল পুলিশ কে দেয়। পুলিশ তা আলামত হিসাবে জব্দ করে। এ সময় ঘাতক আব্দুর রউফ পুলিশ ও গন মাধ্যম কমী ও শত শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ করে য়ে, গত শনিবার, রাতে মাঠের মাধ্যে ডিপ ঘরে একাকি তার স্ত্রী হাসিনা বেগম এসে ঘরে তোলার দাবিতে চাপ দেয়। ঘটনার সময় ডিপ ঘরে তর্কতর্কির এক নিজের গায়ের বোরখায় আগুন দিলে সে আগুনে অঞ্জান হয়ে পড়লে, অঞ্জান অবস্থায় কাধে করে প্রায় ১কিমি দুরে এনে জীবন্ত মাটিতে পুতে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ আসামী কে নিয়ে ডিপ ঘরে গিয়ে ভিকমিরে পুড়িয়ে হত্যা করার কয়েকটি আলামত সংগ্রহ করে ।পরীক্ষার জন্য ভিকটিমের মা ও ভিকটিমের লাশ দিনাজপুর এম রহিম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে বলে থানা সুত্রে জানা যায়। আজ শুক্রবার স্ত্রীকে হত্যার দয়ে আটক আব্দুর রউফকে আদালতে প্রেরন করেন বলে থানা সুত্রে জানা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।