পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর কাবুলের পতনের মতো বড় কোনো ঘটনা ঘটতে চললে আবার সেনা অভিযান চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে পেন্টাগন। এর আগে বাইডেন এবং তার শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আফগানিস্তান থেকে একবার সেনা প্রত্যাহার করা হয়ে গেলে, বিমান হামলার সহায়তাও বন্ধ করা হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানো হতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তারা জানিয়েছেন, কাবুলের পতন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের দূতাবাস ও নাগরিকেরা ঝুঁকিতে পড়েছেন এমন চরম সংকটময় মুহূর্তে যুদ্ধবিমান বা সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। আগামী মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সব বিমানঘাঁটি ছেড়ে দেবে। এরপর সেখানে যদি কোনো বিমান হামলা পরিচালনার দরকার হয়, তা করা হবে সম্ভবত উপসাগরীয় অঞ্চলের ঘাঁটিগুলো থেকে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তালেবান বাহিনী সেদেশের প্রায় প্রতিটি শহরে হানা দিয়েছে এবং সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো হুমকি সৃষ্টি করে চলেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আফগানিস্তান নীতির অনকগুলো অমীমাংসিত প্রশ্নের একটি হচ্ছে সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্র সেখানে বিমান বাহিনীর সহায়তা বজায় রাখবে কিনা? এসব প্রশ্ন সঙ্গে নিয়েই আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে নেটো মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন বাইডেন। অন্যান্য অমিমাংসীত প্রশ্নের মধ্যে আছে সেনা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে আল-কায়েদা ও অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা করবে এবং আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা চালিয়ে যেতে পশ্চিমা ঠিকাদারদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে। তাছাড়া সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের নতুন পথ বের করতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) বেশ চাপে রয়েছে। সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।