Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২০ গ্রামবাসীর ভরসা বাঁশের সাঁকো

এস কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২১, ১২:০৪ এএম

ঝিনাইগাতীতে ২০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ভরসা বাঁশের সাঁকো! স্বাধীনতার পর দীর্ঘ চার যুগেও এখানে নির্মিত হয়নি ব্রিজ। উপজেলার শালচুড়া আব্দুছ ছালামের বাড়ির পাশে মহারশী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ না করায় হাজার হাজার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। অথচ উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের পথ এটি। উপজেলার নলকুরা ইউনিয়নের হলদিগ্রাম-ফাকরাবাদ রুটের শালচুড়ায় আবদুছ ছালামের বাড়ির সামনে মহারশী নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি অত্র এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি।

ওই এলাকার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আব্দুছ ছালাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এম এ ওয়হেদ, শতবর্ষী ডা. আব্দুল বারী, আলহাজ রেজাউর রহমান মাস্টার, আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ-ফকির আব্দুল মান্নান মাস্টার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন- এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়েছিল বিএনপি সরকারের আমলে কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার মালামালও নিয়ে এসেছিল। কিন্তু স¦ার্থানেস্বী মহলের বিরোধিতায় ব্রিজটি নির্মাণ করা যায়নি। পড়ে রানৈতিক পটপরিবর্তণের কারণে টেন্ডারটি বাতিল হয়ে যায়। এ দিকে, নির্বাচনের সময় সকল প্রার্থীই কথা দেয় এখানে ব্রিজ নির্মাণের। কিন্ত নির্বাচন শেষে আর মনে থাকে না। নলকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুব আলী ফর্সা জানান- এ পথে উপজেলার নলকুড়া, ডাকাবর, কুশাইকুড়া, ভারুয়, ফাকরাবাদ, ধোপাকুড়া, ভারুয়া, মানিককুড়া, গজারী পাড়া, হলদিগ্রাম, জারুনতলা, বাওইবাধা, বারুয়ামারি, ডাকাবর, রামেরকুড়া, শালচুড়াসহ কমপক্ষে ২০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন বার বার উপজেলা উন্নয়ন সমন্নয় কমিটির মিটিং-এ বিষয়টি উত্থাপন করেছি। আশ্বাসও পেয়েছি। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ব্রিজও নির্মাণ হয়ণি। সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, বাজার রয়েছে। প্রতিদিন অনেক কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ এ পথে যাতায়াত করে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। ব্রিজের অভাবে পথচারীদের ৪/৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে স্কুল, কলেজ, মাদনাসা, হাট-বাজার ও অফিসে আাসতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জানান, ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করেই ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু অনুমোদন হলেই ব্রিজ নির্মাণ হয়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, অবশ্যই ব্রিজ নির্মাণ হবে, তবে সরকারি কাজ নিয়মানুযায়ী হয়। তাই একটু দেরি হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ