Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

১০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। ব্রিজের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ব্রিজ নির্মিত হলে পাল্টে যাবে ১০ গ্রামের মানুষের জীবনমান। নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের বসুনিয়ার ডাঙ্গা গ্রামের বুড়িখরা নদীর ওপরে বাঁশের সাঁকোটি। নীলফামারী জেলা শহর ও উপজেলা শহর জলঢাকা যাওয়ার ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকোটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে পার হয়ে প্রতিদিন নীলফামারী জেলা শহর, ডোমার উপজেলা শহর ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যাতায়াত করেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। লক্ষীচাপ, কাচারী, শিশাতলী, জংলীপাড়া, দুবাছুরি, বল্লমপাঠ, কচুয়া, দাঁড়িহারা, ডিয়াবাড়ী, শিমুলবাড়ী গ্রামের প্রায় ৩২ হাজার মানুষ অনেক কষ্ট করে ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছেন। সাঁকোর রাস্তাটি লক্ষীচাপ ইউনিয়ন থেকে জেলার বিভিন্ন বড় বড় সড়কের সাথে সংযোগ হয়েছে। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের ভারি মালামাল পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকোটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। সাঁকো ভেঙে মাঝেমধ্যে অনেক লোকজন নদীতে পড়ে গিয়ে আহত হন। তার পরেও দূর-দূরান্ত থেকে আসা এবং ওই এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে চলাফেরা করছে। একটি ব্রিজের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দফতরে ধরণা দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা।
কাঁচারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কমর উদ্দিন বলেন, অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাঁকোর উপড় দিয়ে পারাপার হন। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়ে থাকেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অমিলা রাণী, সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিমেল রায়, পথচারী ধনঞ্জয় রায় ও ইট ব্যবসায়ী দ্বিলীপ বাবু জানান, প্রয়োজনের তাগিদে আমরা এই সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি। আমরা অনেক সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়ি তাই আমাদের দাবি বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণের।
লক্ষীচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান জানান, ইউনিয়নের এই সাঁকোটি মানুষের জন্য একটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন এই সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করেন। ব্রিজ হলে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ১০ গ্রামের মানুষের অবস্থার উন্নতি হবে। ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে আমি এলজিইডি অফিসে কয়েকবার কথা বলেছি।
এ বিষয়ে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর বলেন, বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সাঁকোটি সম্পর্কে আমার জানা আছে, সেখানে ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। আমরা ব্রিজটির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১০ গ্রামের ভরসা বাঁশের সাঁকো

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ