গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
৬০% বাড়তি ভাড়া মানে ১০ টাকার ভাড়া ২০ টাকা। আর ২০ টাকার ভাড়া ৩০ টাকা। রাজধানী কিছু কিছু রুটে এভাবেই ভাড়া আদায় করছে পরিবহন শ্রমিকরা। মতিঝিল থেকে যাত্রাবাড়ী কাজলার ভাড়া ছিলো আগে ১০ টাকা এখন নেয়া হচ্ছে ৩০ টাকা। আবার গুলিস্থান থেকে কাজলার ভাড়া ছিলো ১০ টাকা এখন নেয়া হচ্ছে ২০ টাকা। আবার ডাবাল সিটে ডাবল যাত্রী বসিয়ে গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হয়। যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। কিছু বললে বলে গাড়ী থেকে নেমে যান।
রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অতিমারি করোনার লাগাম টানতে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও প্রায় সব বাসেই সে নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র ভাড়া নেওয়ার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। গাদাগাদি করে পরিবহন করা হচ্ছে যাত্রী। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়তি ৬০ শতাংশ ভাড়া তারা ঠিকই আদায় করছেন। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেছে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
সোমবার (৩১ মে) রাজধানীর গুলিস্তান, কাজলা, শনির আখরা, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, গুলিস্তান ও মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে গণপরিবহনের এমন চিত্র দেখা গেছে।
কিছু কিছু বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেলেও অধিকাংশ বাসে গাদাগাদি করে যাত্রীদের চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকের মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাস শ্রমিকদের মধ্যে দেখা যায়নি কোন তৎপরতা। বেশিভাগ বাসচালক ও হেলপাররা ব্যবহার করছেন না মাস্ক। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো হলেও সঙ্গে আদায় করা হয় অতিরিক্ত ভাড়াও।
বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন আব্দুল গণি। প্রতিদিন মিরপুর থেকে গণপরিবহনে করে যাতায়াত করেন মতিঝিলে। তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনে চলাচলের বিষয়টি শুধুমাত্র খাতা কলমেই আছে। বাসে কোনো সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হচ্ছে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম স্যানিটাইজারও দেয়া হচ্ছে না। আমাদের ঘাড়ের ওপর যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। অথচ বেশি ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে।
গাদাগাদি করে বাসে কেনো যাতায়াত করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রাজধানীর কারওয়ানবাজারগামী যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বাস পেয়েছি। ১০টায় অফিস, কি করবো বলেন। স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করলে তো আর অফিসে সময়মতো পৌঁছাতে পারবো না।
মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ীগামী খাজাবাবা পরিবহনের বেশ কয়েকজন যাত্রী মাস্ক পড়েননি। কেন পড়েননি জানতে চাইলে তারা বলেন, এতোক্ষণ মাস্ক পড়েছিলাম। যে গরম পড়ছে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তাই একটু মাস্ক খুলেছি।
বাসে কেনো নিয়ম না মেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিহঙ্গ পরিবহনের হেল্পার জানান, যারা একই পরিবারের তারাই কেবল দুই সিটে একসঙ্গে বসেছে। এছাড়া অন্য যাত্রীরা আলাদা আলাদা সিটে বসছে।
তবে যাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা কেউই কারো পরিচিত নন বলে জানান। এসময় প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে ওই বাস হেল্পার বলেন, ভাই অফিস টাইম এখন। আমরা কি করবো? যাত্রীরা আমাদের ঠেলে বাসে উঠে যায়। তারা বাসে উঠে গেলে তো আমরা নামায়ে দিতে পারি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।