পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঈদ উপলক্ষে স্বজনদের সান্নিধ্য পেতে যারা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসছেন তাদের কাছ থেকে ফেরার অগ্রিম টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসমালিক ও তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে টিকিটপ্রতি সর্বনিম্ন ১০০ ও সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তবে বাসমালিকদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা পথে চলাচলকারী রয়েল এক্সপ্রেস বাসের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক দাবি করেন, চেয়ার কোচগুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকার চুয়াডাঙ্গা-ঢাকা পথে চেয়ারকোচের ভাড়া ঠিক করে দেয় ৬৬৮ টাকা। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে এই ভাড়া ৫৫০ টাকা নেয়া হলেও ঈদ সামনে রেখে ৬৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। আর এসি বাসের ভাড়া খরচ বিবেচনায় মালিকেরা নির্ধারণ করেছেন। ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার অগ্রিম টিকিট বিক্রি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বেশির ভাগ পরিবহনেরই টিকিট বিক্রি শেষের পথে। পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পরবর্তী ১০ দিন বাড়তি হারে ভাড়া আদায় করা হবে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা, হাটবোয়ালিয়া, কার্পাসডাঙ্গা, দর্শনা, জীবননগর এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকে ছেড়ে আসা শতাধিক বাস প্রতিদিন ঢাকার পথে যাতায়াত করে। এসব বাসের মধ্যে রয়েল এক্সপ্রেসের রয়েছে অর্ধশতাধিক বাস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স, পূর্বাশা পরিবহন, দর্শনা ডিলাক্স, জে আর পরিবহনের আরও অর্ধশতাধিক বাস চলাচল করে।
ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব পরিবহনের কাউন্টারগুলো থেকে চেয়ার কোচের (নন-এসি) ভাড়া ৫৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া মানভেদে এসি বাসগুলোতে যাত্রীপ্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বেশি হারে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ওয়ান জে এসি বাসের টিকিট ৭০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা, আরএমটু এসি বাসের টিকিট ১ হাজার ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং স্ক্যানিয়া হাইডেক (এইচডি) বাসের টিকিট ১ হাজার ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন বলেন, ঈদের আগে-পরে কিছুটা বাড়তি ভাড়া আদায় হলেও বাস মালিকদের তেমন লাভ হয় না। ঈদের আগে ঢাকা-চুয়াডাঙ্গার পথে যাত্রীর চাপ থাকলেও ঢাকার পথে প্রায় যাত্রী শূন্য অবস্থায় যেতে হয়। একইভাবে ঈদের পর চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যেতে যাত্রীর চাপ থাকলেও ঢাকা থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ফিরতে হয়। একমুখী যাত্রীর কারণে অনেক সময় খরচই ওঠে না। এ জন্য ভাড়া কিছুটা বাড়িয়ে খরচের বিষয়টি সমন্বয় করে নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।