মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনা মোকাবিলা নিয়ে জেরবার ভারতের মোদি সরকার। অক্সিজেন, ওষুধ, হাসপাতালে শয্যার অভাবে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। উত্তরপ্রদেশ-বিহারের গঙ্গায় করোনায় মৃতদের লাশ ভেসে উঠেছে। পরিস্থিতি যা, তাতে কবে মহামারীর দাপট কমবে, তার হদিশ দেখা যাচ্ছে না। দেশবাসীর উদ্বেগ বাড়িয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই অবস্থায় আগামী বছর উত্তরপ্রদেশসহ সাত রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই অবস্থায় জনপ্রিয়তায় ভাটা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বিজেপির।
কোভিড সঙ্কট বিজেপি ও তার আদর্শবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উপর কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী বছর যে সমস্ত রাজ্যে ভোট রয়েছে সেখানে দল ও সরকারের উপর করোনার প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়। রোববার দিল্লিতে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। মোদি-শাহ ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং উত্তরপ্রদেশে সঙ্ঘের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুনীল বনসাল প্রমুখ। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিজেপি ও আরএসএস নেতা-কর্মীরা করোনা মোকাবিলায় জনগণের প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নেওয়া হয় একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ ও কঠোর সিদ্ধান্ত, দল ও বিজেপি শাসিত সরকারের উপর যার প্রভাব পড়তে চলেছে। কেননা, আগামী বছরের ভোটের কথা মাথায় রেখে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে বেশকিছু নেতা-মন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ পদ খোয়াতে পারেন।
কোভিড মোকাবিলায় দেশজোড়া অব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির মুখ পুড়েছে। অক্সিজেন, হাসপাতালের শয্যা, ওষুধ ও টিকার অভাব স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কঙ্কালসার দশা প্রকট করে দিয়েছে। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ থেকে সবথেকে ভয়াবহতার ছবি উঠে এসেছে। গঙ্গাতীরে সৎকারের জন্য জড়ো করা করোনায় মৃত দেহগুলিকে কুকুর-চিলে ছিঁড়ে খাচ্ছে। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে কোভিড পরীক্ষার তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়েও। দেশের মধ্যে সবথেকে জনঘনত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। সংসদে সবথেকে বেশি সদস্য যায় এই রাজ্য থেকেই। সেইজন্য ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তরপ্রদেশ একটা বড় ফ্যাক্টর। বলা হয়, উত্তরপ্রদেশ যার, দিল্লির কুর্সি তার। সেদিক থেকে দেখলে আগামী বছরে এই রাজ্যের ভোট মোদি সরকারের ভাগ্যনির্ধারণ করবে। কেননা উত্তরপ্রদেশে বিজেপির ভরাডুবি হলে ২০২৪ সালে মোদির ক্ষমতা ধরে রাখ প্রায় অসম্ভব।
এমনিতেই সাম্প্রতিক পাঁচ রাজ্যের ভোটে আসাম ছাড়া বিজেপির কোনও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কোভিড সঙ্কেটে দলের নেতা-মন্ত্রী, কার্যকর্তাদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। মোদি সরকারের সাত বছর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আগামী ৩০ মে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে নাড্ডা সেই অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, দলের কর্মীদের সমাজের উন্নয়নে উৎসর্গ করা উচিত। উল্টে, সাত বছর বিজেপিকে দেশসেবার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। সূত্র: এবিপি, টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।