Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজেপি বলেছিল কুৎসা রটাতে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

একুশের নির্বাচনের আগে টিকিট না পেয়ে ‘অভিমানে’ দলত্যাগ করেছিলেন তৃণমূলের এককালের ‘বিশ্বস্ত সৈনিক’ সোনালি গুহ। যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তাকে টিকিট দেয়নি বিজেপিও।
কয়েক মাসের মধ্যেই উল্টো সুর সাতগাছিয়ার সাবেক এমপির কণ্ঠে। বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে সোনালি গুহ দীর্ঘ টুইট করলেন। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাও চাইলেন।
টুইটারে দলত্যাগী নেত্রী সোনালি লেখেন, ‘সম্মানীয়া দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালি গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনি আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে, বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন। ধন্যবাদান্তে, আপনার স্নেহের সোনালি গুহ।’

বিজেপি ছাড়ার কারণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সোনালির। তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, দিদির ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে যা জানো তা প্রকাশ্যে বলতে হবে। এক কথায় প্রকাশ্যে দিদির বিরুদ্ধে কুৎসা করতে হবে। যা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।’
গতকাল শনিবার সোনালি বলেন, ‘আমি দিদির কোনও খারাপ দিক জানিই না। আর আমি বিজেপিতে কখনই স্বচ্ছন্দ ছিলাম না। তাই টুইট করে তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে দিদির কাছে আবেদন করেছি।’এনিয়ে বিজেপির পক্ষে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘যে যেখানে শান্তি পাবে, সেখানেই যাক। এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’

এদিকে সোনালি গুহের টুইটের পর তৃণমূলের দিক থেকে এখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কেউ ফিরতে চাইলে, ফিরতেই পারে। এক্ষেত্রে তাই ঘাসফুল শিবিরে সোনালি গুহর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ