পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বর্বরতা ও নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন। সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী গতকাল প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন, ‘ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এক সময়ের মুসলমানদের অভয়ারণ্য ফিলিস্তিন মানবিকতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে গিয়ে যাদের আশ্রয় প্রদান করেছিল, আজ তঁদের দ্বারাই নিপীড়নের শিকার সমগ্র ফিলিস্তিনীরা। মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া নামে পরিচিত এই ইয়াহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল নিজেদেরকে স্বাধীন ঘোষণা ও জাতিসংঘের সদস্য প্রাপ্তির পর অধিকার আদায়ের নামে নিরীহ নিরপরাধ ফিলিস্তিনী জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে। যাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি নারী-শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরাও। সামরিক ক্ষমতা ও পশ্চিমাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্রমশই তাদের বর্বরতা বেড়ে চলছে। হত্যা, লুণ্ঠন, ভ‚মি দখল, ধর্ষণ, পাশবিক নির্যাতন যেন ইসরাইলীদের অধিকার। নিজেদের মাতৃভূমিতেই কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে ফিলিস্তিনিদেরকে। বাকস্বাধীনতাহীন নিরস্ত্র মজলুম ফিলিস্তিনবাসীর বুকফাটা আর্তনাদ, মাতৃ-পিতৃহারা শিশুদের চিৎকার আজ আকাশে বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে’।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সম্প্রতি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইবাদতরত মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনীদের সাথে নতুন এক দ্বন্দ্বের সূচনা করে। নিরীহ মুসলমানদের উপর তাদের এ বর্বরোচিত হামলা ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন তীব্র নিন্দার সাথে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বিবৃতিতে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সন্ত্রাস, সংঘাত, অরাজকতা, পরশ্রীকাতরতা কখনই ইসলাম সমর্থন করে না। তদুপরি, একদল সাম্প্রদায়িক জঙ্গিগোষ্ঠী সর্বদাই শান্তিকামী মুসলিমদের সাথে সংঘাতে জড়াতে সচেষ্ট থাকে। ফলশ্রুতিতে সমাজ, দেশসহ সারাবিশ্ব কলুষিত হয়। ঠিক তদ্রূপ ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে ইসরাইলী জঙ্গিরা। মসজিদে আল-আকসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ উত্তাল সারাবিশ্ব, অশান্তি বিরাজমান সর্বত্র। এমন সময় জাতিসংঘ, ওআইসি, ইউএনসহ বিশ্ব শান্তি-শৃঙ্খলা নীতি নির্ধারণী রাষ্ট্রসমূহের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। অন্যথায়, ইসরাইলী জঙ্গিরা বিশ্বের কানায় কানায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের পাশাপাশি অশান্তির কালো ছায়ায় আচ্ছাদিত করবে।
ইসরাইলের এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ইতোমধ্যে বিবৃতি প্রকাশ করায় নেতৃদ্বয় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। পাশাপাশি দেশের মাদরাসা প্রধান, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বসাধারণকে ফিলিস্তিনের এ দুঃসময়ে নিজ অঙ্গন থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব তার সর্বাত্মক চেষ্টা করার আহ্বান করেছেন। জুমার নামাজসহ দৈনন্দিন নামাজ শেষে মুসল্লিদের নিয়ে মজলুম ও অসহায় ফিলিস্তিনীদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষণের নিমিত্তে সম্মিলিত দুয়ার জন্য দেশের মসজিদসমূহের ইমামগণকে নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।