মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, টালমাটাল অবস্থা। এরই মধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজের সমন্বয়কারী বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গ্রুপ ছাড়লেন শাহিদ জামিল। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক গঠিত ইন্ডিয়ান সার্স কোভ-২ জেনোমিক্স কনসোর্টিয়ামের প্রধানের পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন।
সার্স কোভ-২ এবং এর একাধিক ভ্যারিয়েন্টের জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর কাজ দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য বৈজ্ঞানিক সংস্থা হিসাবে চলতি বছর জানুয়ারিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এই কনসোর্টিয়ামটি সারা দেশ থেকে ভাইরাস নমুনার জিন সিকোয়েন্সিং পরিচালনার জন্য দশটি শীর্ষস্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। কনসোর্টিয়ামটিকে প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের মেয়াদ দেয়া হয়েছিল, তবে পরে সেই সময় আরও বৃদ্ধি করা হয়। যদিও বলা হয়েছে যে এই কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। তবে পরবর্তীতে সেই কাজ দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে, এমনটাই দাবি করা হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মহামারি প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী শহিদ জামিল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন। যার মধ্যে রয়েছে রয়েছে করোনা রুখতে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কথাও। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলিতে নিজের কথা বলতে গিয়ে ভাইরাসটির বিস্তারকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। বিজ্ঞানীর কথায় জানুয়ারিতে মহামারিটি শেষ হয়ে গিয়েছে, তথ্য না জেনেই একথা নিজেরাই মেনে নিয়েছিল মোদি সরকার। সেই মতো বেশ কিছু কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন যে, সরকারি কর্তৃপক্ষ আগেই বিশ্বাস করে ভুল করেছিল এই বিষয়টিতে।
সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে উত্তর সম্পাদকীয়তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে লেখেন শাহিদ জামিল। লেখনীর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। প্রয়োজনের তুলনায় কম পরীক্ষা, টিকাকরণের গতি শ্লথ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সংকটের বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন তিনি। এই তিনটি কারণেই ভারতের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলেই দাবি তার। দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিপর্যয়ের জন্য মোদি সরকারের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন শাহিদ জামিল। তিনি আরও বলেন, ‘এই সমস্ত পদক্ষেপে ভারতে আমার সহবিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। তবে তাদের উপরও চাপ রয়েছে। ভারতে মহামারী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কারণ তথ্যের ভিত্তিতে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া।’
এছাড়াও তার দাবি, বিজ্ঞানীরা কেন্দ্রীয় সরকারকে মার্চ মাস থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সচেতন করেন। প্রাণহানির আশঙ্কাও করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনওভাবেই এ বিষয়ে আমল দেয়নি বলেও দাবি শাহিদ জামিলের। এমনকী বিজ্ঞানীরা বারবার সংক্রমণের রেখাচিত্রর গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিস্তারিত তথ্য চাইলেও মোদি সরকার তা দেয়নি বলেও জানান জামিল। পাশাপাশি টিকাকরণের গতি শ্লথের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ব্যর্থতা’কে দায়ী করেন তিনি। বিপুল জনঘনত্বের দেশে কেন টিকা নিয়ে আরও তৎপরতা নেওয়া হল না সেই প্রশ্নও তোলেন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মোদি সরকারের এহেন সমালোচনার পরই গত শুক্রবার ইস্তফা দেন তিনি। এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই বলেও জানান মহামারী বিশেষজ্ঞ। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।